সচিবালয়ের মতো গ্রেড ও পদবি পরিবর্তন করা এবং বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ।
শনিবার (২৩ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এ দাবি করেন।
মানববন্ধনে সংগঠনের মহাসচিব আবু নাসির খান বলেন, সচিবালয়ের ভেতরে ও বাইরে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, সহকারী বিভিন্ন পদের পদবি ও বেতন স্কেল এক ও অভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও তৎকালীন সরকার ১৯৯৫ সালের প্রজ্ঞাপন জারি করে শুধুমাত্র সচিবালয়ের বর্ণিত পদগুলো আপগ্রেড করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদবি পরিবর্তনসহ ১০নং গ্রেডে উন্নীত করে। ফলে সরকারি দপ্তরগুলোর মধ্যে পদবি ও বেতন বৈষম্যের সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, সুপ্রিম কোর্ট, গণভবন, বঙ্গভবনে বর্ণিত পদগুলোও আপগ্রেড করা হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য দপ্তরের বর্ণিত পদগুলো অদ্যাবধি পূর্বের মতো রয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে তারা এ পদবি বৈষম্যের অবসান চান।
এ সময় তিনি দপ্তর ও অধিদপ্তরের পদবি ও বেতন-বৈষম্য নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ডাক অধিদপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, খাদ্য অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর, কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, ভূমি সংস্কার বোর্ড, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর, জরিপ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, আয়কর বিভাগ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, ক্রীড়া পরিদপ্তর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বন অধিদপ্তর, মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, নার্সিং ও মিডওয়াফারি অধিদপ্তর, পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রশাসিনক কর্মকর্তারা।
+ There are no comments
Add yours