মহিউদ্দিন রনির অভিযোগ সঠিক নয় : সহজ

Estimated read time 1 min read
Ad1

বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-টিকিট পোর্টালের সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি দাবি করেছেন, টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবহেলা ছিল না। তাই রনির অভিযোগও সঠিক নয়।

সোমবার (২৫ জুলাই) গণমাধ্যমে সহজের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার রনি গত ১৩ জুন সকাল ৮টা ৩৬ মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-টিকিট পোর্টাল থেকে ঢাকা থেকে রাজশাহীর চারটি টিকেট কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেন। ওই সময় তার এমএফএস অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় তিনি সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে তার মোবাইল ওয়ালেটে তিন হাজার টাকা জমা করেন এবং ৯টা ৩৭ মিনিটে টিকিটের ২ হাজার ৬৮০ টাকা পরিশোধ করার চেষ্টা করেন।

কিন্তু রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী ১৫ মিনিটের মধ্যে ট্রানজেকশন সম্পন্ন করতে না পারায় তার উক্ত টিকিট বুকিংটি বাতিল হয়ে গিয়েছিল। সহজের ডিজিটাল রেকর্ড অনুসারে ওই তারিখে ওই গ্রাহকের নামে কোন টিকিট ইস্যুই হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী ই-টিকিট পোর্টালের সব শর্ত মেনে নিয়েই মহিউদ্দিন রনির টিকিট কেনার কথা থাকলেও তা পূরণ করতে তিনি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হন।

সহজ জেভি টাকা না পাওয়ায় টিকিট ইস্যু হয়নি। মহিউদ্দিন রনির টিকিটের কোনো টাকা তার মোবাইল ওয়ালেট থেকে সহজ জেভির অ্যাকাউন্টে জমাও হয়নি। টাকা তার নিজস্ব মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে ‘ফ্রিজ’ অবস্থায় ছিল।

যেহেতু গ্রাহকের টিকিটটি শর্তানুযায়ী সাকসেসফুলি ইস্যু হয়নি, তাই মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস প্রোভাইডার পরবর্তী তিন কর্মদিবসের ভেতরে স্বয়ংক্রিয় রিকনসিলিয়েশন পদ্ধতিতে পরে ‘আনফ্রিজ’ করে দিয়ে দেয়। এটি একটি পরীক্ষিত, নিরাপদ ও বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত রিকনসিলিয়েশন পদ্ধতি। প্রতিষ্ঠানভেদে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের রিকনসিলিয়েশন পদ্ধতিতে রয়েছে পার্থক্য। যেমন বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে সব ব্যাংক এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ রিকনসিলিয়েশন পদ্ধতি  অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে গ্রাহকদের রিফান্ড করে থাকে।

শর্তে উল্লেখিত সময়ের আগেই  টাকা ফেরত পেয়েছিলেন রনি। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী (যা টিকিটিং অ্যাপ ও ওয়েবসাইটেও উল্লেখ আছে) ৮ কর্মদিবসের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও দ্রুততম সময়ে সেবা নিশ্চিত করায় রনি পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তার মোবাইল অ্যাকাউন্টে টিকিটর মূল্য বাবদ প্রদত্ত সম্পূর্ণ টাকা ফেরত পেয়ে যান।

এ বিষয়ে সহজ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা কাদির বলেন, ‘যদিও মহিউদ্দিন রনির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের এবং ব্যাংকের পেমেন্ট রিকনসিলিয়েশন পলিসি’র সব ধরনের নিয়ম মেনেই যথাযথ সেবা দেওয়া হয়েছে। সহজ লিমিটেড কোনোভাবেই তার প্রতি দায়িত্বে অবহেলা কিংবা অবজ্ঞা করেনি।’

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours