২০১৯ সালে কাজ শুরু করা বরাদ্দের ৯৩ শতাংশ টাকা নিয়ে এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশের মতো কাজ শেষ হয়েছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সেতু। নির্মাণে মরিচা পড়া রড ও জমে যাওয়া সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক, রেলিং ও অন্যান্য কাজও বাকি। অর্ধেক কাজ করেই ঠিকাদার গায়েব।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মধুখালী শাখা নদীতে নির্মাণাধীন সেতু পরিদর্শনে এমন অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম। রোববার (২৪ জুলাই) অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ নিশ্চিত করেছেন।
অভিযানে এলজিইডির পটুয়াখালীর উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী মহর আলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তারা। তবে ঠিকাদারকে পাওয়া যায়নি।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ব্রিজ নির্মাণে ঠিকাদার কর্তৃক নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রাসেল রনি, মো. মাইনউদ্দীন ও উপ-সহকারী পরিচালক সমীরন কুমার মন্ডলের সমন্বয়ে গঠিত টিম অভিযানে যায়। এনফোর্সমেন্টের অভিযান চলাকালে টিম সরেজমিনে মধুখালী শাখা নদীতে নির্মাণাধীন পার্ডার ব্রিজের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে। দুদক জানায়, সরেজমিনে পরিদর্শনকালে স্থানীয়রা ব্রিজের কাজের জন্য মরিচা পড়া রড ও জমে যাওয়া সিমেন্ট ব্যবহার করার অভিযোগ করেন। স্থানীয়রা ও প্রকৌশলীদের উপস্থিতিতে ঠিকাদারের সাইট রুমে প্রবেশ করে মরিচাপড়া রড ও জমে যাওয়া সিমেন্ট দেখতে পায় দুদক টিম। এছাড়া সরেজমিনে ব্রিজের কাজের অনেক ত্রুটি দেখা যায়। ব্রিজের মূল অংশের কাজ সমাপ্ত হলেও দুই পাশের রেলিং ও অন্যান্য কাজ শেষ করা হয়নি। প্রকল্পের কাজ প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ বাকি থাকলেও প্রায় ৩ কোটি ৫ লাখ টাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ইতোমধ্যে প্রদান করা হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours