হত্যা মামলার আসামি যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক

Estimated read time 1 min read
Ad1

মেধাবী শিক্ষার্থী নাঈমুল ইসলাম হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি তানভীর ফয়সালকে সাধারণ সম্পাদক করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১১ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৩১ জুলাই) রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

১১ সদস্যের ওই কমিটির আরও তিন নেতার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।

সোহেল রানাকে সভাপতি ও তানভীর ফয়সালকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এ ছাড়া কমিটির সহসভাপতি পদে আফিকুর রহমান, নাজমুস সাকিব, মেহেদী হাসান ও আল মামুন সিমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, এস এম ইকরামুল কবির ও নূর মোহাম্মদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও মুরাদ পারভেজের নাম রয়েছে।

ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের বিরোধের জেরে ২০১৪ সালের ১৪ জুলাই দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র নাঈমুল ইসলামকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ও পদবঞ্চিত নেতা–কর্মী সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের বিরোধের জেরে ২০১৪ সালের ১৪ জুলাই দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র নাঈমুল ইসলামকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

নাঈমুলের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করলে প্রথমে থানা-পুলিশ ও পরে সিআইডি মামলাটির তদন্ত করে। মামলার তদন্ত শেষে ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আসামির তালিকায় ৩ নম্বরে তানভীর ফয়সালের নাম রয়েছে। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। এ ছাড়া ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শহীদ মসিয়ূর রহমান আবাসিক হলে তৎকালীন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসানের নেতৃত্বে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তখন শিক্ষার্থীদের প্রায় ৩০০টি মুঠোফোন সেট, ১০০টি ল্যাপটপ, নগদ অর্থ ডাকাতি করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় ২৫ জন আসামি করে কোতোয়ালি থানায় ডাকাতির মামলা হয়। ওই মামলায় তানভির ফয়সালকে আসামি করা হয়েছে। একই সঙ্গে বর্তমান ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদ পাওয়া আল মামুনের নামও ওই মামলার এজাহারে রয়েছে।

এ ছাড়া কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ পাওয়া এস এম ইকরামুল কবির ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা ও মাদক বিক্রেতার তালিকায় নাম রয়েছে। ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁকে সাময়িক বহিষ্কারও করে। অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

২০১৯ সালের ২ নভেম্বর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এর আগে ২০১৪ সালের ১৬ মে ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সুব্রত বিশ্বাসকে সভাপতি ও এসএম শামীম হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরমেয়াদি যবিপ্রবি ছাত্রলীগের ৫৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর পর আর কোনো কমিটি হয়নি। আড়াই বছর পরে এবার আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours