যশোর অভয়নগরে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ভোর রাতে উপজেলার বুইকারা গ্রামের জগবাবুর মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হাফিজুর রহমান বুইকারা গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে। অপর সহযোগী ‘নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক’ রুহুল আমিন আল হেলাল।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শামীম হাসান বলেন, সোমবার রাতে মামলা করার পর মঙ্গলবার ভোরে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান ও রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা ট্রাকের সহকারী। মা বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলে অস্থায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। ধর্ষক হাফিজুর তাদের পাড়া-প্রতিবেশী। তার স্ত্রী ও ৯ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। প্রায় সময় সে ভুক্তভোগী মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করত। গত ১৩ জুলাই হাফিজুরের খালা রোকেয়া বেগম ভুক্তভোগীর বাড়িতে আসে এবং হাফিজুরের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ের প্রস্তাব দেন।
স্কুলছাত্রীর মা বলেন, সেদিন দুপুরে রোকেয়া বেগম আমাকেসহ আমার মেয়েকে হাফিজুরের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় আমার মেয়ের স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন। তিনি কৌশলে একটি সাদা কাগজে আমার ও আমার মেয়ের স্বাক্ষর করিয়ে বলেন, হাফিজুরের সঙ্গে তোমার মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এখন থেকে তোমার মেয়ে হাফিজুরের স্ত্রী।
পরে আমি ও আমার মেয়ে প্রতিবাদ করলে হাফিজুর ও এলাকার কয়েকজন সন্ত্রাসী ভয়ভীতি এমনকি হত্যার হুমকি দিয়ে আমাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। গত ১৭ জুলাই রাতে ওরা আমার মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ির সামনে ফেলে রেখে চলে যায়। আমি হাফিজুরসহ জড়িত সবার শাস্তি দাবি করছি।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী জানায়, ১৩ থেকে ১৬ জুলাই হাফিজুর আমাকে ধর্ষণ করেছে। আমি বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছি। আমি এর বিচার চাই।
+ There are no comments
Add yours