ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনাটি বিএনপি পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আগস্ট মাস শুরুর জাস্ট আগেই গত পরশুদিন ভোলায় যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে সেটি দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি ঘটিয়েছে। বিএনপি সেখানে যে মিছিল সমাবেশ করবে, সেটি কিন্তু পুলিশকে আগে থেকে অবহিত করেনি। এরপরেও তারা যাতে মিছিল সমাবেশ করতে পারে, পুলিশ সেজন্য সহযোগিতা করেছে।
তারা দোকানপাট ভাঙচুর শুরু করল এবং পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করল। তাই পুলিশকে টিয়ার গ্যাস ছুড়তে হয়েছে। বিএনপি শুধুমাত্র ইট-পাটকেল নয়, পুলিশের দিকে গুলিও ছুড়েছে। বিএনপির ছোড়া গুলিতে ভোলায় কর্মরত পুলিশের একজন সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও দাবি করেন ড. হাছান।
তিনি বলেন, এছাড়া বিএনপি অফিসে একজন পুলিশ সদস্যকে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। বিএনপির যে যুবকটি মারা গেছে, ডাক্তার বলছে তার মৃত্যুর কারণ হচ্ছে হেড ইনজুরি অর্থাৎ ইট-পাটকেলের আঘাত। বিষয়টি তদন্তাধীন। এই ইট-পাটকেল তো বিএনপি ছুড়েছে। পুলিশ তো ইট-পাটকেল ছোড়েনি। বিষয়টা তদন্তাধীন যেহেতু সেহেতু তদন্তে বিষয়টি নিশ্চয়ই পরিষ্কার হবে।
মন্ত্রী বলেন, অর্থাৎ পুরো ঘটনাটা তারা পরিকল্পিতভাবে সেখানে ঘটিয়েছে। তারা প্রকৃতপক্ষে লাশ তৈরি করতে চায়। লাশ তৈরি করে আগস্ট মাসে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরির যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, সেটির মধ্যে ঘি দেওয়ার জন্যই তারা লাশ তৈরি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এই ঘটনাও সেই লক্ষ্যেই ঘটানো হয়েছে।
আজ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উস্কানিমূলক এবং অশোভন ভাষায় কথা বলেছেন দাবি করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এবং মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করা এবং সময় সময়ে গুজব রটানো। এটি হচ্ছে বিএনপির রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য।
+ There are no comments
Add yours