জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক সাংবাদিককে শারীরিক নির্যাতনের দায়ে ছাত্রলীগের ৮ কর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
৩ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় ছাত্রলীগ কর্মীকে নির্যাতনকারী হিসেবে দাবি করেন সাংবাদিক আল আমিন হোসেন রুবেল।
অন্যদিকে অব্যাহতি পাওয়া আট ছাত্রলীগ কর্মী হলেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের আসাদ হক ও আরিফ জামান সেজান, দর্শন বিভাগ ৪৭তম ব্যাচের মীর হাসিবুল হাসান রিশাদ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের রাইহান বিন হাবিব, অর্থনীতি বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের জিয়াদ মির্জা, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের মুনতাসির আহমেদ তাহরীম, আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ এবং রসায়ন বিভাগ ৪৮তম ব্যাচের জাহিদ হাসান।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি একটি গণমাধ্যমে কাজ করেন
ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কক্ষ থেকে ডেকে এনে নিজের ও বন্ধুদের পরিচয় দিতে বলা হয় ওই সাংবাদিককে। পরিচয় পর্ব শেষে রুমের সিলিং ধরে ঝুলে থাকতে বলা হয়। পাঁচ মিনিট সময় ঝুলে থাকার পরে আর ঝুলতে না পেরে নেমে যান সাংবাদিক। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন ছাত্রলীগ কর্মীরা এবং শাস্তি স্বরূপ টেবিলের নিচে মাথা দিতে বলেন তারা। কিন্তু তাতে অস্বীকৃতি জানালে আরও রাগন্বিত হয়ে মারধর শুরু করেন ছাত্রলীগ কর্মীরা।
এ বিষয়ে জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, অপরাধীর কোনো দল নেই। ছাত্রলীগ কোনো অপরাধীর আশ্রয়স্থল না। আমরা রাতে অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই সাংবাদিক এবং হল ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভবিষ্যতে তারা ছাত্রলীগের কোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
+ There are no comments
Add yours