জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক কর্মীর গায়ে ধাক্কা লাগার ঘটনায় আরেক কর্মীকে মারধর করার পর সংগঠনের দুটি হলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল ও মওলানা ভাসানী হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ফুটবল খেলার সময় এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
সৌরভ কাপালি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৪৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে খালিদ হোসেন মার্কেটিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
রাত ৮টার দিকে রড, লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় অবস্থান নেন মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী। বটতলার কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র খালিদ হোসেনসহ কয়েকজন ফুটবল খেলছিলেন। এ সময় মাঠে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনে কথা বলছিলেন মওলানা ভাসানী হল ছাত্রলীগের কর্মী সৌরভ কাপালি। ফুটবলের পেছনে ছুটতে গিয়ে সৌরভের সঙ্গে ধাক্কা লাগে খালিদের। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে খালিদকে ঘুষি দেন সৌরভ। এরপরেই সেখানে হাজির হন হল দুটির ছাত্রলীগ কর্মীরা। তখন পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
এরপর সৌরভ মোটরসাইকেলে তুলে খালিদকে মওলানা ভাসানী হলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে মীর মশাররফ হলের ছাত্রলীগের কর্মীরা গিয়ে তাকে আটকে দেয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটে। পরে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটমাট করা হয়েছে।’
+ There are no comments
Add yours