ইউনুস আলী,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের সব কটি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ধরলা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমছে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও তিস্তায়।
কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, ফুলবাড়ী ও উলিপুরসহ নয়টি উপজেলার শতাধিক চরের নিচু এলাকা এখনো প্লাবিত রয়েছে। এসব এলাকার মানুষজন বাঁধ, রাস্তা ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর আমন ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ভেসে গেছে বেশ কিছু পুকুরের মাছ।পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ভাঙন। বন্যায় গ্রামীণ পথগুলো ভেঙে যাওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে নদ-নদীর ভাঙনে সদর উপজেলার সারডোব, মোঘলবাসা, পাঁচগাছি, যাত্রাপুর-উলিপুরের থেতরাই, গুণাইগাছসহ বিভিন্ন এলাকায় বিলীন হচ্ছে বাড়িঘর ও আবাদি জমি। কয়েকটি এলাকায় ঝুঁকিতে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বাজার।
ধরলার ভাঙনে সদর উপজেলার নন্দদুলালের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বিলীন হওয়ায় টিনশেড স্কুলঘরটি শুক্রবার থেকেই সরিয়ে নেয়া শুরু করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তবে পানি কমার কারণে ভাঙন বেড়েছে
+ There are no comments
Add yours