এম হেলাল উদ্দিন নিরব, চন্দনাইশ-
চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভাস্থ জামালুর রহমান খান বিজ্ঞান প্রযুক্তি কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক প্রভাষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে এবং কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে কলেজের শিক্ষার্থীরা শনিবার ক্লাস বর্জন করেছেন।
জানা যায়, উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক মো. নুর হোসাইনকে প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় এর হিসাব প্রস্তত করে মাসিক অডিট কমিটির নিকট দাখিল করার জন্য দায়িত্ব অর্পন করেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভাষক অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আবদুল মোমিনের নিকট ২০১২ সাল থেকে অদ্যাবধি ছাত্রভর্তি, বিদায়ী সনদসহ বিভিন্ন আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার অনুরোধ করেন।
কলেজের অধ্যক্ষ আয়-ব্যয়ের হিসাব নয়-ছয় করে প্রতিবেদন প্রস্তত করে উক্ত প্রভাষকের কাছ থেকে জোর পূর্বক স্বাক্ষর আদায় করতে চান। প্রভাষক নুর হোসাইন হিসাব নিকাশে আয়-ব্যয়ে গড়মিল থাকায় স্বাক্ষর না করায় অধ্যক্ষ অন্যান্য শিক্ষকের উপস্থিতিতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার (৪ আগষ্ট) প্রভাষক নুর হোসাইনকে শারীরিক নির্যাতন করেন এবং এক পর্যায়ে জুতোপেটা করার হুমকি দেন। প্রভাষক নুর হোসেন বলেন, অধ্যক্ষ ২০১২ সাল থেকে হিসাব দাখিল করেননি। সেখানে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় জড়িত।
বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তিনি আমাকে দিয়ে প্রতিবেদনে স্বাক্ষর নিয়ে তার দুর্ণীতির খতিয়ান জায়েজ করার অপচেষ্টা চালান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির অনুরোধে আমি কোথাও কোন অভিযোগ দায়ের করি নাই। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে কলেজের শিক্ষার্থীরা শনিবার ক্লাস বর্জন করেন। এবং অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেন পরিচালনা পর্ষদের কাছে।
দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বিনয়মিত্র, শুভ খান, বাপ্পি, সোহাগ, মুনিম শাহারিয়া, মুমু এবং প্রথম বর্ষের আব্দুল ওয়াহিদ, আরাফাত, তানভীর জানান, অধ্যক্ষের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার সঠিক বিচার না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মোমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রভাষককে লাঞ্ছিত করার কথা অস্বীকার করেন। তবে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
+ There are no comments
Add yours