ইউক্রেনের দুই প্রদেশ জাপোরিজ্জিয়ে ও খেরসন দেশটি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাশিয়ার অংশ হতে চাইছে। এ জন্য দুই প্রদেশের প্রশাসনের তরফ থেকে এ বিষয়ে গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম রিয়া নভোস্তির বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির অপর সংবাদমাধ্যম আরটি নেটওয়ার্ক।
গভর্নর বালিৎস্কি জানিয়েছেন, জাপোরিজ্জিয়ে প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন স্তরের ৭শ’রও বেশি জনপ্রতিনিধি এই গণভোটের অনুমোদন দিয়েছেন এবং সোমবার তিনি এই গণভোটের চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে স্বাক্ষরও করেছেন।
খেরসনের প্রাদেশিক প্রশাসনে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, সেখানেও ‘রাশিয়ায় যোগ দেওয়া হবে কিনা’ প্রশ্নে গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যে তার তোড়জোরও শুরু হয়েছে।
দুই প্রদেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে হবে এই গণভোট।
মঙ্গলবার ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি ও মুখপাত্র সেখানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ক এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘তিনি (জেলেনস্কি) ভুল জায়গায় সতর্কবার্তা দিয়েছেন। গণভোটের ডাক আমরা দিই নি, দিয়েছে ইউক্রেনের জনগণ। আমাদের মতে, তার উচিত হবে রাশিয়াকে সতর্কবার্তা না দিয়ে নিজ দেশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা।’
শনিবার ১৬২তম দিনে গড়িয়েছে ইউক্রেনে রুশ সেনাদের অভিযান। এই চার মাস সময়ের মধ্যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ লুহানস্ক, ইউক্রেনের দুই বন্দর শহর খেরসন ও মারিউপোল, দনেতস্ক প্রদেশের শহর লিয়াম, মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ জাপোরিজ্জিয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে রুশ বাহিনীর হাতে।
এদিকে, যুদ্ধ শুরুর এক সপ্তাহের মধ্যেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে শান্তি সংলাপ শুরু হয়। সংলাপের এক পর্যায়ে রাশিয়ার শর্ত অনুযায়ী নিজেদের সামরিক সক্ষমতা হ্রাসে রাজিও হয়েছিল ইউক্রেন।
+ There are no comments
Add yours