প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে অদ্য ২২ সেপ্টেম্বর- ২০২০ইং, মঙ্গবালবার বেলা ১২ টায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত এর কেন্দ্রীয় নেতা দেশ বরেণ্য আলেমেদ্বীন আলামা মুফতি আলাউদ্দীন জিহাদীর ষড়যন্ত্রমূলক গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত চট্টগ্রাম জেলার একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি শায়খুল হাদিস অধ্যক্ষ আলামা রফিক উদ্দীন ছিদ্দিকী, সহ সভাপতি আলামা এনামুল হক সিকদার, আলহাজ্ব এস এম সিরাজ উদ্দিন তৈয়বী, আলহাজ্ব এইচ এম মুজিবুল হক শুক্কুর, অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, স ম শহিদুল হক ফারুকী, এম মহিউল আলম চৌধুরী, আলহাজ্ব এ এম মঈনুদ্দীন চৌধুরী হালিম, লায়ন মোহাম্মদ এমরান, মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম, মাওলানা মুহাম্মদ মুসলিম উদ্দীন ও ছাত্রনেতা কাজী মুহাম্মদ আহসানুল আলম প্রমূখ। মাননীয় জেলা প্রশাসক এর পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন মাননীয় উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) জনাবা ইয়াছমিন আকতার তিবরীজি।
স্মারকলিপিতে উলেখ করা হয়–এদেশের ৮৭ শতাংশ মানুষ সুফিবাদী ভাবধারার সুন্নী মতাদর্শে বিশ্বাসী। অথচ সুন্নী অধ্যুষিত এদেশেই সুন্নীয়তের কর্ণধার আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলার আলামা মুফতি আলাউদ্দীন জিহাদির মত একজন আলেমেদ্বীনকে বিনা কারনে গ্রেফতার করে একদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। যা শুধু দূঃখজনক নয় বরং গ্লানিকরও বটে। যেটি কোনক্রমেই মেনে নিতে পারছে না দেশের তাবৎ সুন্নী জনতা। কোনভাবেই থামছে না সুন্নী জনসাধারণের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ। সুন্নী ঘরানায় বিরাজ করছে চরম অসন্তোষ। ফলে সারাদেশে ক্রমাগত তাঁর মুক্তি আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে। এছাড়াও আমরা গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার সাথে লক্ষ্য করেছি যে,- আলামা মুফতি আলাউদ্দীন জিহাদি যখন ফতুলা থানায় গ্রেপ্তার হন, তখন ফতুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কার্যালয়ে অবস্থান করে মামলার বাদি ও কতিপয় হেফাজত নেতা। দেখা গেল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে হেফাজত নেতারা লাইভ প্রচার করছে। হেফাজত নেতাদের পাশাপাশি ঐ লাইভ অনুষ্ঠানে ফতুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও যোগ দেন। দৃশ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বাপকভাবে ভাইরাল হয়। যেটি দেশবাসী হতবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করেন। মনে হয়েছিলে এটি থানা নয়-এটি হেফাজত কার্যালয়। এ আপত্তিকর দৃশ্যে জনমনে নানাবিধ প্রশ্নের উদ্রেক করছে। পাশাপাশি স্বাধীন দেশের একজন প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তির এহেন নির্লজ্জ পক্ষপাতদুষ্টতা সুন্নীদের হতাশায় নিপতিত করেছে।
আমরা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, এ কওমীরা দেশের শান্তি, সুস্থতা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনভাবেই সহায়ক নয়। এরা কূপমণ্ডুক ধ্যান-ধারনা সম্পন্ন উগ্রপন্থী একটি স¤প্রদায়। ঘৃন্য জঙ্গিবাদের সাথে যাদের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত সত্য। এদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে জঙ্গি ট্রেনিং সেন্টার বললে কোনভাবেই অত্যুক্তি হবে না। সত্যিকার অর্থে এরা জাতীয় উন্নয়ন-অগ্রগতির অন্তরায়। এছাড়াও ইতোপূর্বে অর্থাৎ ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে সংঘটিত এ কওমীদের অবাঞ্চিত তান্ডব এর কথা দেশ ও জাতি তো কখনও ভুলবেনা। অতএব এদের সম্পর্কে সরকারের কঠোর ও সতর্ক নজরদারীর কোনপ্রকার ব্যত্যয় ঘটলে এরা বিষধর সাপের ন্যায় ছোবল মারবে। কেননা এরা কোনভাবেই দেশ ও জাতির মিত্র নয়। আমরা দেশের খ্যাতিমান আলেমেদ্বীন আলামা মুফতি আলাউদ্দীন জিহাদীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারসহ ৭২ ঘন্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় দেশের সুন্নী জনতাকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
উলেখ্য যে, আহলে সুন্নাত নেতা আলামা আলাউদ্দীন জিহাদীর মুক্তি আন্দোলনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্রসেনা একাত্মতা পোষন করে আগামীকালের সমাবেশকে সর্বাত্মকভাবে সফল করে তোলার জন্য নেতা কর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন। এছাড়াও এ সমাবেশকে সফল করতে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সকল পীর মাশায়েখ, দরবার-খানকার সাজ্জাদানশীনসহ দলমত নির্বিশেষ সকলের প্রতি আহলে সুন্নাত নেতৃবৃন্দ অনুরোধ জানিয়েছেন।
+ There are no comments
Add yours