ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জেরে রাশিয়ার জ্বালানি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাজ্যেও জ্বালানির যোগান সংকুচিত হয়েছে।
ফলে গুরুতর প্রভাব পড়তে যাচ্ছে দেশটির বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে।
ব্রিটেনের সরকারি কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, আসছে জানুয়ারি থেকে বিদ্যুতের দাম ও লোডশেডিং-উভয়ই বাড়বে দেশটিতে।
যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞাজনিত কারণে কয়লার যোগান কমে যাওয়ায় দেশটির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এতদিন রাশিয়ার গ্যাস, তেল ও কয়লার সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছিল ইউরোপ। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রুশ তেল ও কয়লার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গ্যাসের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া না হলেও সামনের বছর থেকে রুশ গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউভুক্ত বিভিন্ন দেশ।
এছাড়া বিগত বিভিন্ন বছরে বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা গেলে প্রতিবেশী দেশ ফ্রান্স, নরওয়ে, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডস থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে সে ঘাটতি পূরণ করত যুক্তরাজ্য। কিন্তু বর্তমানে এসব দেশেও একই সংকট শুরু হওয়ায় আসছে শীতে আর বিদ্যুৎ রপ্তানির অবস্থায় নেই যুক্তরাজ্যের প্রতিবেশীরা। নরওয়ে ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, আগামী শীতে যুক্তরাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।
ব্রিটেনের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার এক ষষ্টাংশ ঘাটতি তৈরি হয়েছে এবং সামনের শীতে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই ঘাটতি আরও বাড়বে। ফলে সরকারকে সামনের বছরের শুরু থেকে বাধ্য হয়েই বাড়াতে হচ্ছে বিদ্যুতের মূল্য, এবং লোডশেডিং।
যুক্তরাজ্য সরকারের বাণিজ্য, বিদ্যুৎ ও শিল্পনীতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ব্লুমবার্গকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘সংকট এমন ঘনীভূত হয়ে উঠবে, তা আমাদের চিন্তারও বাইরে ছিল। আসছে শীতে যেন বিদ্যুতের ঘাটতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায়, সেজন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
+ There are no comments
Add yours