মোঃ আমির হোসেন, ঝালকাঠিঃ
ঝালকাঠি সদর উপজেলার হাজরাগাতি গ্রামে সাবকবলা সম্পত্তি নানা ষড়যন্ত্র করে দখল করে নেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে প্রতিপক্ষরা। জানা গেছে, হাজরাগাতি গ্রামের জামাল হোসেন মল্লিকের পৈত্তিক সূত্রে প্রাপ্ত প্রায় ১১৭ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখলে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় কালু মিস্ত্রি। তার পূর্বপুরুষরা উল্লেখিত ওই সম্পত্তি বিক্রি করলেও কালু মিস্ত্রি পুনরায় মালিক দাবি করে দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও কোন সুরাহ হয়নি।
এ বিষয় জমির প্রকৃত মো: জামাল হোসেন মল্লিক জানান, ১৯৭২ ও ১৯৭৫ সালে মোট ৪টি সাবকবলা দলিলমূলে ১১৭ শতাংশ জমি ক্রয়ে করেন তার বাবা চাঁন মল্লিক। বিক্রেতা নিবারণ চন্দ্র মিস্ত্রি জমি বিক্রির টাকা নিয়ে ভারতে চলে যান। এরপর তার সন্তান সুধীর চন্দ্র মিস্ত্রি ঝালকাঠিতে,রাজু মিস্ত্রি পাশ্ববর্তী নৈকাঠি গ্রামে বসবাস শুরু করেন। অপর সন্তান বিপুল মিস্ত্রি মারা গেলে তার পুত্র কালু মিস্ত্রি নানা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বিক্রয়কৃত জমি দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করেন। এনিয়ে কালু মিস্ত্রির চাচা ও চাচাতো ভাইরা তাকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে জামাল মল্লিকের জমি দখল করার পাঁয়তারা থেকে বিরত থাকতে বললেও তিনি ভ্রক্ষপে করছেন না।
ভূক্তোভোগী জামাল হোসেন মল্লিক আরো জানান, বিভিন্ন সময়ে ভারাটে লোকজন নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই জমি দখল করতে চায় কালু মিস্ত্রি। এনিয়ে বিগম দিনে কয়েকবার শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে কাগজপত্র যাচাই বাছাই করা হয়েছে। শালিসগন জানিয়েছেন, দলিল মূলে কালু মিস্ত্রি বা তার বাবা চাচাদের কোন সম্পত্তি বিক্রির অবশিষ্ট নেই। এরপরও কালু মিস্ত্রি প্রভাব খাটিয়ে আমার বসতবাড়ি দখলের পায়ঁতারা চালাচ্ছে। বিভিন্ন জনের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতির কাছে নতুন করে শালিসী করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এতেও আমি সম্মতি দিয়েছি।
এ ব্যাপারে জমির সাবেক মালিক প্রায়ত নিবারণ চন্দ্র মিস্ত্রি’র পুত্র সুধীর চন্দ্র মিস্ত্রি জানান, যুদ্ধের সময় বাবা জমি বিক্রি করে দেশান্তর হয়েছিলেন।এরপর কিছুদিন জমির নতুন মালিক (চাঁন মল্লিক) আমাদের থাকার জায়গা ও দেখাশুনা করেছেন। পরে আমরা ঝালকাঠিতে বসবাস শুরু করি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কালু মিস্ত্রির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় শালিসদার মো: হেমায়েত মোল্লা জানান,এ নিয়ে বিগতদিনে কয়েকবার স্থানীয় পর্যায়ে শালিস বৈঠক হয়েছে। জামাল মল্লিকের বাবা চাঁন মল্লিক ৪টি দলিলমুলে নিবারণ চন্দ্র মিস্ত্রির জমি ক্রয় করেছেন। চাঁন মল্লিকের ক্রয়কৃত জমির মধ্যে নিবারণ মিস্ত্রীর অবশিষ্ট কোন জমি নেই। বর্তমানে নিবারণ চন্দ্র মিস্ত্রীর ওয়ারিশ কালু মিস্ত্রী জামাল মল্লিকের মধ্যে জমি প্রাপ্যতার যে দাবি তুলেছে তা অযৌক্তিক। কালু মিস্ত্রী অযাথা তাদের হয়রানী করছেন বলেও তিনি আরো জানান।
এ ব্যাপারে পোনাবালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মজিবর রহমান মাস্টার জানান, জামাল মল্লিক ও কালু মিস্ত্রির জমিজমা নিয়ে বিরোধের বিষয়টি জেনেছি। উভয়পক্ষই বিষয়টি মিমাংসার জন্য আমাকে বলেছেন। আমি আগামী শুক্রবার ওই বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে মিমাংসার চেষ্টা করবো।
+ There are no comments
Add yours