হাওয়া সিনেমার একটি দৃশ্য নিয়ে ৩৩টি পরিবেশবাদী সংগঠন বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে জানিয়েছে, সিনেমায় শালিক পাখিকে খাঁচায় বন্দি রাখা, মেরে খাওয়া কিংবা শাপলা পাতা মাছ ধরার দৃশ্যগুলো আইন লঙ্ঘনের নজির।
যার ফলে সিনেমাটি দেখেছেন বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কর্মকর্তারা। সিনেমা দেখার পর কর্মকর্তাদের দাবি, সিনেমায় বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের চার কর্মকর্তা বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটি দেখেন।
এর আগে গত ২৯ জুলাই দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তি পায় হাওয়া। দীর্ঘদিন পর দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে সাড়া ফেলার পাশাপাশি এ সিনেমায় বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগও আসে।
সিনেমা দেখা শেষে ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক সাংবাদিকদের বলেন, সিনেমাটি দেখলাম। ঘটনা সত্য। সিনেমায় মাছ ধরা, নৌকায় দীর্ঘসময় একটি শালিক পাখিকে খাঁচায় বন্দি রাখা হয় এবং শেষে পাখির মাংস খাওয়া হয়, যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর সুস্পষ্ট বিরোধী। কেননা বন্যপ্রাণীকে খাঁচায় আটক রাখা কিংবা বন্দি রাখা আইনের লঙ্ঘন।
বন কর্মকর্তা বলেন, আমরা রিপোর্ট পেশ করব। আশা করি, আইন অমান্যকারীকে শাস্তির আওতায় আসতে হবে। শাস্তির বিষয়টা আদালত দেখবে। আইন লঙ্ঘন হয়েছে, এটা আমরা বলতে পারব। তবে আইনে বলা আছে, বন্যপ্রাণীকে খাঁচায় লালন পালন বা নিজের দখলে রাখলে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা ও দুই বছরের জেল হতে পারে।
এসময় বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন বিভাগের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল সাদিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে হাওয়া সিনেমার নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। জানার পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।
+ There are no comments
Add yours