অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীতে আত্মহত্যার হিড়িক পড়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দেশটির বাহিনীর সাবেক-বর্তমান সদস্যদের মধ্যে বেড়েছে আত্মহত্যার হার।
মূলত একটি যুগান্তকারী প্রতিবেদনে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের মধ্যে আত্মহত্যার উচ্চ হারের বিষয়টি উঠে আসার পর এটিকে ‘একটি জাতীয় ট্র্যাজেডি’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
গত আট মাস ধরে কয়েকশ লোকের সাক্ষাৎকার নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ সরকারি একটি তদন্ত সংস্থা। রাজকীয় কমিশনের নেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে দেখা গেছে, অত্যাধিক জটিল প্রশাসনিক পদ্ধতির কারণে অস্ট্রেলিয়ার চাকরিজীবী নারী ও পুরুষরা কার্যত সংগ্রাম করছেন এবং চাকরি থেকে অব্যাহতির পর নানামুখী সহায়তা-সমর্থনের অভাবে জীবনযাপন করছেন।
এদিকে এই রিপোর্ট প্রকাশের পরপরই ক্ষমা চেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। একইসঙ্গে রিপোর্টে উল্লেখ করা সুপারিশগুলোর বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
বিবিসি বলছে, ২০০১ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর (এডিএফ) বর্তমান এবং সাবেক সদস্যদের মধ্যে আত্মহত্যার মাধ্যমে এক হাজার ২০০ জনেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ জনসংখ্যার তুলনায় প্রবীণদের মধ্যে আত্মহত্যার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
জ্যাকুই ল্যাম্বি বলেন, ‘বেঁচে থাকার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়াটা আমার জন্য বেশ কঠিন ছিল। এমনকি আমার ছেলেদের জন্যও। (বেঁচে থাকতে) আমার মধ্যে কোনো লড়াই আর বাকি ছিল না।’
অবশ্য সাড়া ফেলে দেওয়া এই রিপোর্ট সামনে আসার পরপরই ক্ষমা চেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী ম্যাট কিয়োগ। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, রিপোর্টে কমিশনের উল্লেখিত সুপারিশগুলো তার সরকার ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে’ সমাধান করবে। আর এ লক্ষ্যে গত মে মাসে ক্ষমতায় আসার এই সরকার ইতোমধ্যে অতিরিক্ত ৫০০ জন কর্মীও নিয়োগ করেছে।
+ There are no comments
Add yours