বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কখনোই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর ফার্মগেট খামারবাড়ি কেআইবি মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি বলে জিয়া মুক্তিযুদ্ধা ছিলেন। আমরা অস্বীকার করছি না। কিন্তু তিনি কি স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন? অবশ্যই তার কর্মকাণ্ডে সেটি প্রমাণ হয় না। যদি তিনি সত্যি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতেন তাহলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের পর ইনডেমনিটি আইন করে খুনিদের রক্ষা করতেন না। জিয়া যদি হত্যাকাণ্ডে জড়িত না থাকে তাহলে তিনি খুনিদের বিচার কেন করেননি? তাদের বিচার করতে তার কী সমস্যা ছিল? তিনি উল্টো তাদের পুরস্কৃত করেছিলেন।
তিনি বলেন, জিয়া ৭৫ সালে ক্ষমতায় যাওয়ার পর যারা রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী এবং গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগের নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের কারাগার থেকে মুক্ত করে দিয়েছেন। জামায়াতে ইসলামী যারা যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ছিল তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন। জিয়া মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান জয় বাংলা নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান জিন্দাবাদ নিয়ে এসেছিলেন।
হানিফ বলেন, বিএনপির জন্ম হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি দিয়ে। তারা এখনো এ রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। তারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে। তারা কখনো চায় না দেশের মানুষ ভালো থাকুক।
তারা শুধু চায় যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় যেতে। তাদের এখন দেশি-বিদেশি সবখানে ষড়যন্ত্র করে। তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়। তাদের নেতারা সব সময় মিথ্যাচার নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ ছিল ৫ সেপ্টেম্বর। তিনি হঠাৎ করে হঠাৎ করে ১৫ আগস্ট কেক কাটা শুরু করলেন। এর কারণ ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী। গোটা জাতির শোকের ও বেদনার দিন তারা আনন্দ করে, কারণ বঙ্গবন্ধু এ দেশকে স্বাধীন করেছেন আর খালেদা জিয়া পাকিস্তানের পক্ষের শক্তি।
+ There are no comments
Add yours