ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১৪ টাকায়

Estimated read time 0 min read
Ad1

মার্কিন ডলারের সংকট কাটাতে বিলাসী পণ্যসহ আমদানিতে নানা শর্ত দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ কারণে আমদানির এলসি খোলার পরিমাণ কমে যাওয়ায় প্রভাব পড়ছে ডলারের বাজারে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ ডলারের দাম বিক্রি হচ্ছে ১১৪ থেকে ১১৫ টাকায়। গত সপ্তাহেও এক ডলার কিন‌তে গ্রাহক‌দের গুণ‌তে হ‌য়েছিল ১১৮ থে‌কে ১২০ টাকা।

এখন আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হয়েছে ৯৫ টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এই দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে।

অন্যদিকে ডলার বাজার স্থিতিশীল করতে সম্প্রতি বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সঙ্গে বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নিয়ম অনুযায়ী এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর। চলতি বছরের মে মাসের শুরুর দিকে এ দর ছিল ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সায়। এ হিসাবে দেড় মাসের ব্যবধানে টাকার মান কমেছে ৮ টাকা ৫৫ পয়সা।

তবে বা‌ণি‌জ্যিক ব্যাংকগু‌লো‌তেও এখন ১০৬ থে‌কে ১০৮ টাকায় নগদ ডলার বি‌ক্রি হচ্ছে। আর খোলাবাজারে ডলারের দাম ১১৫ টাকা পর্যন্ত। ‌এর আগে দে‌শে খোলাবাজারে প্রথমবারের মতো ১০০ টাকার ঘর পেরিয়ে যায় গত ১৭ মে। এরপর আবার কমে আসে। প‌রে গত ১৭ জুলাই ফের ১০০ টাকা অতিক্রম করে। গত ১০ ও ১১ আগস্ট নগদ ডলার ১২০ টাকায় উ‌ঠে‌ছিল।

আমদানির চাপে দেশে মার্কিন ডলারের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত ডলার বিক্রিতে মুনাফার হার নির্ধারণ করে দেওয়া। যাতে করে ব্যাংকগুলো এমন অনৈতিক কাজ না করতে পারে।

বৈঠক শেষে ডলারের বাড়তি মুনাফার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, এখন ডলারের টানাপড়েন চলছে। এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য বাফেদা ও বাংলাদেশ ব্যাংক বৈঠক করেছে। ডলারের মার্কেট যাতে খুব কম সময়ের মধ্যে স্থিতিশীল করা যায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ব্যাংকগুলো আমদানির রেটের চেয়ে রপ্তানিতে ডলারের মূল্য অনেক কম দিচ্ছে ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, আমরা নিয়মিত বাজার পরিদর্শন করছি। এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলো যে রেটে রপ্তানির ডলার কেনে, পরে আমদানি এলসির করার সময় সেই রেটের ব্যবধান যেন বেশি না হয়। এজন্য একটা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে মুনাফা করতে বলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব শেষ তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসের ১১ দিনে দেশে মোট ১৬১ কোটি ডলার সমপরিমাণ মূল্যের আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে। যা জুলাই মাসের তুলনায় ৯৪ কোটি ডলার বা ৩৬ শতাংশ কম। জালাই মাসে আমদানি হয়েছিল ২৫৫ কোটি ডলার।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours