বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আন্দোলনের জোয়ার শুরু হয়েছে। নেতাকর্মীদের সাহস দেখতে পাচ্ছি। সমর্থকরাও রাস্তায় নেমে আসছে। বাংলাদেশে এবং বিদেশে একটি কথা উঠে আসছে, শেখ হাসিনা আর কতদিন থাকবে। আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ।
তাদের নেত্রী, সাধারণ সম্পাদকের কথায় বুঝতে পারছেন, তাদের মধ্যে একটা বড় ধরনের হতাশা কাজ করছে। তারা ইতোমধ্যে তর্জন-গর্জন শুরু করেছে। যত গর্জে তত বর্ষে না। যখন গর্জন বাড়তে থাকে, দুর্বলতা ততবেশি বাড়ে। সময়ের অপেক্ষা, হাসিনার লোকজনও আন্দোলনে চলে আসবে।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামের নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ে ২২ আগস্ট থেকে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বিএনপির ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা দুই হাজার লোক যদি প্রাণও দেই তাহলেও শেখ হাসিনার পতন সম্ভব নয়। এই জন্য লাখ লাখ লোক নিয়ে আন্দোলনে নামতে হবে। মানুষ যখন রাস্তায় নেমে যাবে তখন শেখ হাসিনার আশপাশের লোকজনও এদিকে ধাবিত হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাছির উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরে এক ঘণ্টার ডাকে পুরো নগর অচল করার মতো নেতা আছে। কোনো জেলায় যদি আন্দোলনের নেতা প্রয়োজন হয়, তাহলে চট্টগ্রাম নগর থেকে নিয়ে যান। এদের নখদর্পণে পুরো নগর। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না, আঙ্গুল বাঁকা করতে হবে। এখন নেতাকেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে নেতাকর্মীদের নিয়ে। বিএনপি কোনো বাহিনীর দল নয়, বিএনপি জনগণের দল। নেতারা এবার ঈমানী দায়িত্ব পালন করে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুত।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ছবি তোলার জন্য এই আন্দোলন নয়, কঠিন আন্দোলন করতে হবে। চট্টগ্রামের নেতারা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে তাহলে চট্টগ্রাম থেকেই সরকারের পতন হবে। আমাদের কথা হবে কম, কাজ হবে বেশি।
+ There are no comments
Add yours