রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের আগারগাঁও রেডিও সেন্টারের বিপরীতের ফুটপাত থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের তদন্তের এক পর্যায়ে বেরিয়ে এল সেই মরদেহ উদ্ধারের মূল রহস্য।
প্রাথমিক পর্যায়ে প্রযুক্তির সহায়তায় জানা যায় ওই ব্যক্তির নাম ইসমাইল হোসেন (৫৪)। তার বাড়ি যশোর জেলায়।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে পুলিশের তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মাহমুদ হাসান বলেন, শুক্রবার ভোরে সাভারের আমিনবাজারে একটি বাসের সঙ্গে লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় লেগুনার চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর আগারগাঁও রেডিও সেন্টারের বিপরীত পাশের ফুটপাত থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি আমিনবাজারে দুর্ঘটনা কবলিত লেগুনার যাত্রী ছিলেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ভোরে বাস-লেগুনার সংঘর্ষের ঘটনায় ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত হলে তার পূর্বপরিচিত এক নারী তাকে সিএনজিতে করে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকার কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টাও করেন। পরে আহত ওই ব্যক্তি মারা গেলে সঙ্গে থাকা নারী ঘাবড়ে গিয়ে লাশটি সিএনজি থেকে রেডিও সেন্টারের বিপরীত পাশের ফুটপাতে ফেলে পালিয়ে যান। নিহত ওই ব্যক্তি হানিফ পরিবহনের চালক ছিলেন বলে জানতে পেরেছি। তার বাড়ি যশোর জেলায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসেছেন।
ওই নারীর সন্ধান মিলেছে। এ ঘটনায় সাভারের হাইওয়ে থানায় মামলা হয়েছে। বাস ও লেগুনা হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে আছে। তার শরীরের আঘাতের যে চিহ্ন পাওয়া গেছে সেটি দেখে প্রাথমিকভাবে আমরা সড়ক দুর্ঘটনার ধারণা করেছিলাম। নিহত ইসমাইল হোসেনের মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে।
এর আগে, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে আগারগাঁও রেডিও সেন্টারের বিপরীত পাশের ফুটপাত থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের বেশ কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখে প্রাথমিকভাবে তারা মনে করে এটি একটি সড়ক দুর্ঘটনা।
পরে এ ঘটনার তদন্তের এক পর্যায়ে একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যায়, সিএনজিচালিত অটোরিকশা আগারগাঁও রেডিও সেন্টারের বিপরীত পাশে ফুটপাতের সামনে দাঁড়ায়। এ সময় সিএনজির ডান পাশের দরজা খুলে বাইরে আসেন এক নারী। তার হাতে একটি ব্যাগ।
একই সময় বাম দিকের দরজা খুলে বের হন এক পুরুষ। ওই দুজনকে তখন সিএনজির পেছনে দাঁড়িয়ে কিছু বলতে দেখা যায়। তারা এদিক-ওদিক নজর বুলিয়ে নেন। এ সময় দুজন পথচারী ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন।
তারা সিএনজি অতিক্রম করে সামনে যেতেই ওই নারী সিএনজিতে না উঠে পেছন দিক দিয়ে চলে যান। আর তখনই ওই পুরুষ সিএনজির বাম দিকের দরজা দিয়ে একটি মরদেহ ফুটপাতের ওপরে ফেলে দ্রুত চলে যান।
+ There are no comments
Add yours