ধনাঢ্য ও করপোরেট ব্যক্তিদের টার্গেট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মেয়েদের আইডি থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হতো।
এরপর বন্ধুত্ব গড়ে কখনো ডেকে নেওয়া হতো বাসায়, কখনো হোটেলে। টার্গেট করা ব্যক্তিদের জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করা হতো।
দুই নারীকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করে গেল দুই বছরে অন্তত ৫০ জন ধনাঢ্য ও করপোরেট ব্যক্তির আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণের পর ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।
এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ও দক্ষিণখানে অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ চক্রের সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১ এর একটি দল।
গ্রেপ্তাররা হলেন— আল মাহমুদ ওরফে মামুন, আকরাম হোসেন ওরফে আকিব, মাস্তুরা আক্তার প্রিয়া, তানিয়া আক্তার, মো. রুবেল, মো. মহসীন ও মো. ইমরান। এসময় তাদের কাছ থেকে আপত্তিকর ছবি ও গোপন ভিডিও ধারণ কাজে ব্যবহৃত ১৪টি মোবাইল ফোন ও দুটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।
গ্রেপ্তার দুই নারী সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার আল মাহমুদ ওরফে মামুনের স্ত্রী গ্রেপ্তার তানিয়া আক্তার। তারা দুজনে পরিকল্পিতভাবে এ কাজে জড়ায়। এছাড়া গ্রেপ্তার মাস্তুরা আক্তার প্রিয়া একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।
ফেসবুকে বন্ধুত্বের ডাকে সাড়া দিয়ে অপরিচিত কিংবা নির্জন স্থানে না যাওয়ার পরামর্শ দেন র্যাব কর্মকর্তা লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।
+ There are no comments
Add yours