নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তারা একদিকে বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে নির্বাচনে আসবে না। আবার বলে ইভিএমে আসবে না। ইভিএম চান না, তাহলে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে কেন গেলেন না?’
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এ-ব্লক অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য ইলেকশন কমিশন ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, মির্জা ফখরুল সাহেব সরকারের পরিবর্তন যদি চান, সোজাসুজি কথা হলো নির্বাচনে আসতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণকে জানানো আজকে আমাদের প্রয়োজন। বিশ্ব পরিস্থিতি কি আমাদের সৃষ্টি? বাংলাদেশের যে বাস্তবতা, আমরা পরিস্থিতির মূল্য দিচ্ছি।
এটা আমাদের সৃষ্টি নয়। মানুষ বোঝে, আমরা মানুষের কষ্ট বুঝি। শেখ হাসিনা মানুষের কষ্ট বোঝেন। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। বাস্তবতাকে অস্বীকার করেননি। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, সরকার এটা জানে। বিদ্যুত এবং জ্বালানির এ অবস্থা থাকবে না।
বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চাইলে আসতে হবে। আমরা কারও দয়ায় টিকে থাকতে চাই না। জনগণ আমাদের ক্ষমতার উৎস। জনগণ যদি ভোট না দিয়ে নির্বাচিত না করে, আমরা বিদায় নেব। আমরা কারও দয়ায় বা ইলেকশন কমিশন ইভিএম দিয়েছে; এইসব দেখে রাজনীতি করি না।
‘বর্তমান সরকারের হাত থেকে জনগণ মুক্তি চায়’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ মুক্তি চায় না, মুক্তি চায় বিএনপি। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। একটা পদ্মা সেতুতেই কাত হয়ে গেছেন। একটা পদ্মা সেতুতেই আপনাদের বুকের ব্যথা বেড়ে গেছে। সামনে মেট্রোরেল, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল, সামনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।
+ There are no comments
Add yours