লোহাগাড়ায় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানীমূলক মামলার প্রতিবাদে এবং প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে দক্ষিণ চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকরা।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় দোহাজারী পৌর সদরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দক্ষিণ চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকরা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে।
চাঁদাবাজ ভুয়া সাংবাদিকদের বাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় লোহাগাড়া উপজেলার মো. আলা উদ্দিন ও মো. এরশাদ হোসেন নামের দু’সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে তিনটি মামলা দায়ের করে।
মিথ্যা হয়রানীমূলক এ মামলার প্রতিবাদে এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। মানববন্ধনে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলার বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহন করেন।
দোহাজারী প্রেসক্লাব সভাপতি এম. এ রাজ্জাক রাজ-এর সভাপতিত্বে ও সাতকানিয়া প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক মো. জাহেদ হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনের অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দোহাজারী প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক এস. এম. নাসির উদ্দিন বাবলু, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আজগর আলী সেলিম, সাতকানিয়া ভোরের কাগজ প্রতিনিধি এম নাজিম মাহমুদ, গোপাল ঘোষ, আবদুল গফুর রব্বানী, চন্দনাইশ সাংবাদিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি এস এম রাশেদ, সাধারন সম্পাদক মো. কমরুদ্দিন, আমিনুল ইসলাম রুবেল, এস এম ওমর ফারুক, এম ফয়েজুর রহমান, মোহাম্মদ হোসেন, সৈয়দ আক্কাস উদ্দিন, মো. ইকবাল হোসেন, মুন্সি আবদুর রউফ সৌরভ, জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার আসকর খান বাবু, হকার সমিতির সবাপতি নুরুল আমিন ও মো. রফিক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় কলাউজান হিন্দুর হাটে শাহপীর অয়েল এজেন্সি নামে একটি তেলের দোকানে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবী করেন জাহাঙ্গীর আলম মো. কলিম উল্লাহ। চাঁদাবাজির বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় জনতা তাদের ধরে ফেলেন। পরে স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে তারা ভবিষ্যতে আর চাঁদাবাজি করবেন না মর্মে মুচলেকা দেন এবং চাঁদাবাজির টাকা ফেরত দেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে এরশাদ হোসাইন ও আলাউদ্দিনসহ স্থানীয় সাংবাদিকেরা প্রতিবাদ করেন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এরাশাদ হোসাইন ও আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতসহ মোট তিনটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের নির্দেশ দেন। বর্তমানে ওই তিন মামলা তদন্তাধীণ রয়েছে।
+ There are no comments
Add yours