নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া শিক্ষা ব্যবস্থাকে ‘গোলাপী শিক্ষা’ আখ্যা দিয়ে হাঙ্গেরির সরকারি একটি সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চশিক্ষায় নারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে তা দেশের অর্থনীতিকে বিপন্ন করে তুলতে পারে। এর ফলে জন্মহার হ্রাস এবং পুরুষেরা বৈষম্যের শিকার হতে পারেন বলেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান-ঘনিষ্ঠ দেশটির সংসদের অর্থনৈতিক পর্যবেক্ষক সংস্থার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে নারীদের প্রতিনিধিত্ব বেশি। প্রতিবেদনের লেখকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নারী স্নাতক বৃদ্ধির ফলে নারীদের বিয়ে এবং সন্তান ধারণের সম্ভাবনা কমে যেতে পারে।
এই প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু নিয়ে চলতি সপ্তাহে বিস্তারিত সংবাদ করেছে দেশটির সংবাদপত্র নেপসজাভা। নারী শিক্ষার ওপর প্রকাশিত নিরীক্ষা অফিসের প্রতিবেদন নিয়ে দেশটির রাজনীতিবিদ এবং মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা তীব্র সমালোচনা করেছেন।
হাঙ্গেরির বিরোধী রাজনীতিবিদ এন্দ্রে টথ ফেসবুকে প্রতিবেদনটির সমালোচনা করে বলেছেন, গত শতাব্দী থেকে আপনার চশমা সরিয়ে ফেলার সময় হয়েছে। তিনি নারী এবং পুরুষের তথাকথিত বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্যকে ‘একেবারে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে অযৌক্তিক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
হাঙ্গেরিতে বিভিন্ন সময়ে লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা গেছে। দেশটিতে সফরের পর ২০১৯ সালে কাউন্সিল অব ইউরোপের মানবাধিকার কমিশনার দুনজা মিজাতোভিচ বলেছিলেন, লিঙ্গ সমতা এবং নারী অধিকারে পিছিয়ে রয়েছে হাঙ্গেরি।
+ There are no comments
Add yours