
ইউনুস আলী, জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে ঢুষমারা থানা পুলিশ ব্রক্ষ্রপুত্র নদ সংলগ্ন ‘চিতনা বিল’ থেকে অর্ধ গলিত একটি লাশ উদ্ধার করেছে। শুক্রবার বিকালে এ লাশের ময়না তদন্ত করা হয়।
রংপুর সিআইডি পুলিশের ক্রাইমসিন বিভাগের ৪ সদস্যের একটি টিম লাশ পরিক্ষা করে নমুনা সংগ্রহ করছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে কেউ খুন করে লাশ গুম করতে নদীতে ভাসিয়ে দেয়। পরে লাশটি ভাসতে ভাসতে নদী থেকে চিতনা বিলে ঢুকে পরে। ঢুষমারা থানার অফিসার ইনচার্জ সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রাঙ্গা মিয়া জানান, রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের শংকরপুর পাড়ার সুরুজ্জামানের বাড়ির নিকট ব্রক্ষপুত্র নদ সংলগ্ন চিতনা বিলের মাঝ থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে পনে ৬টার দিকে এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ এলাকার গ্রাম পুলিশ সদস্য জয়নাল আবেদিন গভীর পানিতে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। এলাকাবাসীর কেউ লাশটির পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি। লাশটি পুরুষ মানুষের। বয়স ৪৫ থেকে ৫০ এর মধ্যে।
গায়ের রঙ উজ্জল শ্যামা, মুখমন্ডল গোলাকার, খাটো-মোটা আকৃতির, উচ্চতা ৫ফিট ৩ইঞ্চি। লাশের শরীরের নীচের অংশে কাপড় ছিলনা। উপরের অংশে নেভিব্লু টি শার্ট পরিহিত ছিল। লাশের পচন ধরায় লাশ ফুলে কিছুটা বিকৃত হয়েছে।
একই সঙ্গে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে শুক্রবার লাশের ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়। বিকেল ৫টায় লাশের পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য সিআইডির ক্রাইমসিন বিভাগের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
ঢুষমারা থানার অফিসার ইনচার্জ সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম জানান, এ ব্যাপারে ঢুষমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব পেয়েছেন এস আই রাঙ্গা মিয়া। রংপুর সিআইডির ক্রাইমসিন বিভাগের ইন্সপেক্টর সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি টিম শুক্রবার শেষ বিকালে লাশটি পরীক্ষা নিরিক্ষা করে ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
সকল পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে এই সঙ্গে লাশের পরিচয়ও সনাক্ত করা সম্ভব হবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সকল পুলিশ থানায় লাশের ছবিসহ তথ্যাদি প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে অনেক এ্যাঙ্গেল নিয়ে ভাবা হচ্ছে। লাশ গুম করার জন্য কেউ ভাসিয়ে দিতে পারে।
ভারত থেকে নদী পথে ভেসে আসতে পারে। পানিতে ডুবে মৃত্যু হতে পারে। বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হতে পারে। এসব কিছুই ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বলা যাবে।
+ There are no comments
Add yours