ম্যাসেঞ্জারে পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে অর্থ আত্মসাতের দায়ে বগুড়া ও জয়পুরহাটের তিন যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়াউর রহমান প্রত্যেককে দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও তিনজনের ১ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বগুড়ার সদর উপজেলার চাঁদপাড়া এলাকার মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে নিশাত আনাম (১৯), একই এলাকার শাহিনুর ইসলামের ছেলে সৈকত ইসলাম (২১) এবং জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার দমদমা এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান হাসান (২৪)।
সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আলাদা মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮-এর ২৩ (২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আসামি নিশাত আনাম, সৈকত ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান হাসান।
তাদের প্রত্যেককে ২ বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। আসামিদের হাজতবাস মূল কারাদণ্ড থেকে বাদ যাবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
মামলা দুটির বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে বগুড়া সদরের সাতমাথা এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-১২ এর একটি দল। সেখান থেকে গ্রেপ্তার জন আনাম ও সৈকত। তাদের কাছে থাকা মোবাইলে ১০০টি প্রশ্নপত্রের স্ক্রিনশর্ট পান র্যাব সদস্যরা।
২০০২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টার দিকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালায় র্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্প সদস্যরা। সেখান থেকে গ্রেপ্তার হন হাসান। তার মোবাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বোর্ডের ভুয়া প্রশ্নপত্রের স্ক্রিনশর্ট পাওয়া যায়।
তারা ফেসবুক-ম্যাসেঞ্চারে ভুয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। প্রতারণার উদ্দেশ্যে এসব প্রশ্নপত্র তারা নিজেরাই বানিয়েছিলেন। আনাম ও সৈকতের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর এবং হাসানের বিরুদ্ধে পাঁচবিবি থানায় মামলা দায়ের করে র্যাব।
+ There are no comments
Add yours