উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি মিললে বাণিজ্যে চ্যালেঞ্জ আসবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই জানিয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান বলেছেন, সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইআরডি চেষ্টা করছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মাধ্যমে বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার।
বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘ইফেক্টিভ এনগেজমেন্ট অব দ্যা মিডিয়া ফর সাসটেইনেবল গ্রাজুয়েশন’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
সচিব শরিফা খান বলেন, আমাদের টার্গেট ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের ওপরে কাজ করা। ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এখন ভাইটাল এরিয়া। গ্রাজুয়েশন পরবর্তী সময়ে আমাদের সার্ভাইভ করতে হবে, নিজেদের ট্রেডের ওপর। কষ্ট কমিয়ে কীভাবে প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানো যায় সে বিষয়ে কাজ করতে হবে। প্রতিযোগিতার মার্কেটে টিকে থাকতে হলে বাণিজ্য সুবিধা বাড়ানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
এ বিষয়ে ভালো গবেষক মিলছে না দাবি করে শরিফা খান বলেন, আমি হিমশিম খাচ্ছি ভালো গবেষক খুঁজে পেতে। গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটা নিয়ে আমাদের আরও কাজ করতে হবে। প্রোডাক্ট ডাইভারসিফিকেশনের বিষয়ে ভালো রিসার্চার পাওয়া যায় না। টেকনিক্যাল ইস্যুতে কম লোক পাওয়া যায়। আমি বাণিজ্যখাতে দীর্ঘদিন কাজ করেছি, তখন থেকে একটা শব্দ বার বার শুনে আসছি, সেটা হলো ডাইভারসিফিকেশন। কিন্তু এখনো আমাদের পোশাক খাতের ওপরে বেশি নির্ভর করতে হয়। আগে ছিল ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ, বর্তমানে সেটা হয়ে গেছে ৮৪ থেকে ৮৫ শতাংশ। এই ক্ষেত্রে থিংক ট্যাংকদের সেই রকম অ্যাকশন প্ল্যান দেখি না। গতানুগতিক অ্যাকশন দেখে যাচ্ছি। আমরা চাচ্ছি ভালো রিচার্সচার আসুক কারণ সরকারি কর্মকর্তাদের কাজ কিন্তু গবেষণা করা নয়। গবেষণার জন্য সরকারি কর্মকর্তারা ব্যাকআপ তথ্য সরবরাহ করবে। সেইগুলো নিয়ে আমরা পলিসি ফর্মুলেশন করবো।
+ There are no comments
Add yours