অতিবর্ষণের সঙ্গে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে তিস্তা নদীতে পানি বাড়ায় আবার ডুবেছে লালমনিরহাট, নীলফামারী ও রংপুরের ১২টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে বন্যার ধকল সইতে পারছেন না বিপন্ন মানুষ।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদরে নদী তীরবর্তী চর দ্বীপচরসহ নিচু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। মাত্র সপ্তাহ দুই আগে একটি বন্যার পানি নামতো না নামতে নতুন করে আবার বড় বন্যায় শঙ্কায় পড়েছে এ জেলার অন্তত ১০ হাজার পরিবার। এভাবে বারবার বন্যার আঘাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না উত্তরের ৫ জেলার হাজারও মানুষ।
রিভারাইন পিপল নামে নদী কেন্দ্রিক একটি গবেষণা সংস্থার পরিচালক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, মৌসুম হিসেব করলে এবার পঞ্চমবারের মতো বন্যার কবলে পড়লো তিস্তা পাড়ের মানুষ। আর বছর হিসেবে অষ্টম বারের মতো দেখা দিল বন্যা।
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তিটি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে ড. ওয়াদুদ বলেন, শুষ্ক মৌসুমে যেমন পানি চাই, তেমনি বর্ষায় বিনা নোটিশে পানি ছেড়ে আমাদের মানুষকে ডুবিয়ে মারবে, তা তো হয় না।
+ There are no comments
Add yours