২০১২ সালে বিয়ের পর জাতীয় দলের ক্রিকেটার আল আমিনের সঙ্গে সংসার জীবন ভালোই কাটছিল স্ত্রী ইসরাত জাহানের।
তবে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকে একটু একটু করে বদলাতে থাকে সে। ২০১৬ সাল থেকে আল আমিনের ‘বদলে যাওয়া’ রূপ সামনে আসে ইসরাতের।
স্ত্রীর অভিযোগ, ‘আল আমিন বাসায় নিয়মিত আসত না। বাসায় থাকলেও নানা অজুহাতে দীর্ঘ সময় ফোনে কথা বলত। এসব বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে বলত— আমি এখন জাতীয় দলের খেলোয়াড়। আমার অনেক ভক্ত, তাদের সঙ্গে দেখা করতে হয়, কথা বলতে হয়।’
গতকাল সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) আল আমিনের মিরপুরের বাসায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে ঢাকা পোস্টের কাছে এভাবে কথাগুলো বলেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির মিরপুর মডেল থানায় পেসার আল আমিনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ইসরাত জাহান যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও মারধরের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন।
মামলার পর আল আমিনকে গ্রেপ্তারে ঢাকাসহ একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে আট সপ্তাহের আগাম জামিন নেন আল আমিন।
ইসরাত জাহান বলেন, ২৫ আগস্টের পর আল আমিন এবং আমার পরিবারের লোকজন এ বিষয়ে বসে আলোচনা করেছে। তখন আল আমিন কথা দেয়, বিষয়টি মীমাংসা করবে। কিন্তু এরই মধ্যে আমরা শুনতে পাই সে ওই মেয়েকে বিয়ে করেছে। পরে আমি বাধ্য হয়ে, দুই ছেলের কথা চিন্তা করে মামলা করি। আল আমিন বিয়ে করেছে সমস্যা নাই। আমি চাই সে ফিরে আসুক এবং সব কিছু মীমাংসা করুক। এজন্য মামলা করা। আমি জানি সে ঢাকায় আছে। সে ফিরে আসুক আমার কাছে।
আমি আরও চাই, আমার ছেলেরা যেন তার বাবা-মার ভালোবাসা পেয়ে বড় হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলছে। এ মুহূর্তে এটাই সর্বশেষ সংবাদ। এর বেশি তথ্য এখন আমরা জানাতে পারছি না।’
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে স্ত্রী ইসরাত জাহানের দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছেন পেসার আল আমিন হোসেন। স্ত্রীর অভিযোগের বিষয়ে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করবেন তিনি।
+ There are no comments
Add yours