পণ্য প্যাকেট করেই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে সুপারশপ

Estimated read time 1 min read
Ad1

খোলাবাজারের যে চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ কেজি, একই চাল সুপার প্রিমিয়াম নামে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করছে ৭৮ টাকায়। চাল প্যাকেটজাত করেই কেজিতে ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা করছে স্বপ্ন, আগোরা ও মীনা বাজারের মতো সুপারশপগুলো।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এক পর্যবেক্ষণে এসব তথ্য উঠে এসেছে।মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সুপারশপ ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

সফিকুজ্জামান বলেন, অভিযানে দেখা গেছে, যেকোনো পণ্যে সুপারশপগুলো লাভের পরিমাণ অনেক বেশি। সুপার প্রিমিয়ামের নামে ৫৮ টাকার চাল বিক্রি করছে ৭৮ টাকায়। এভাবে তারা ভোক্তার পকেট কাটছে। কে কত টাকা লাভে পণ্য বিক্রি করছে, সেই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। বাজারে পণ্যের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে সুপারশপগুলোর ভূমিকাই বেশি।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, মিনিকেট চালের নামে প্রতারণা বন্ধ করতে হবে। এ প্রতারণা বন্ধে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযানে নামবে এবং মিনিকেট বলতে কোনো চাল বাজারে থাকবে না। ভোক্তারা মোটা চাল খাওয়ার অভ্যাস করলে মিনিকেট চাল আর উৎপাদিত হবে না।

ভোক্তারা আগের চেয়ে বেশি সচেতন হচ্ছেন উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, প্রতিটি খাতে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন ভোক্তারা। আগে এক বছরে যে পরিমাণ অভিযোগ জমা পড়তো, এখন তা দ্বিগুণ বেড়েছে। ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণার বিষয়ে স্থায়ী সমাধান দরকার বলেও জানান তিনি।

অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, ডিমের দামেও লাভ করা হচ্ছে আকাশ-পাতাল ব্যবধানে। প্রতি ডজন ডিমের ব্যবসা করা হচ্ছে ১৮ টাকা ৩ পয়সা। খোলা পণ্য প্যাকেটজাত হলেই তারা লাভ করে নিচ্ছে দ্বিগুণ।

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুপারশপগুলোর প্রতিনিধিরা বলেন, প্যাকেটজাত পণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) সুপারশপগুলো নির্ধারণ করে না। বাজারজাতকারী ব্র্যান্ডগুলোই তা নির্ধারণ করে। এ ক্ষেত্রে তাদের দায় নেই। নিয়ম অনুযায়ী তারা মুনাফা করছেন। তাদের দাবি অতিরিক্ত নয়, বাজারের প্রচলিত নিয়মেই মুনাফা করা হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours