দেলেয়ার হোসাইন টিসু, কক্সবাজার :
উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপ রোহিঙ্গাদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে নিহতদের মধ্যে দু’জন হলেন স্থানীয় যুবক।
তারা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা রংগীখালীর এলাকার দিলদার আহমেদের পুত্র নুরুল বশর ও একই এলাকার পশ্চিম সিকদার পাড়ার নোহা চালক নুর হোসেনের পুত্র নুর হুদা। নিহত অপর দুইজন হলেন, শীর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মুন্নার ভাই গিয়াস ও মারুফ।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে তাদের নিহতের বিষয়টি হওয়া যায়। তবে কেন বা কি কারণে তাদের হত্যা করা হয়েছে তা এখনো সঠিক জানা যায়নি।
এদিকে নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়-নিহত নুরুল বশর ও নুর হুদাকে রিজার্ভ ভাড়া করে নিয়ে হ্নীলা থেকে কুতুপালং গেলে ভাড়ার টাকা নিয়ে যাত্রীদের সাথে এক প্রকারের তর্কাতর্কি হলে তাদেকে জবাই করে হত্যা করা হয় বলে নিহত নুর হুদার ভাই ইসমাইল নিশ্চিত করেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করার জন্য জোর দাবী জানান।
অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে সংঘর্ষে শুরু হলে সন্ত্রাসী মুন্নার পরিবারের কিছু সদস্য একটি মাইক্রোবাসে করে পালিয়ে যাওয়া চেষ্টা করে। তখন প্রতিপক্ষরা ঐ গাড়িতে হামলা চালায়। এই সময় গাড়িতে থাকা চালক ও হেল্পার হামলার শিকার হয়ে মারা যায়।
এ বিষয়ে জানতে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদকে ফোন করা হলে তিনি জানান, আমরা পরিচয় জানার চেষ্টা করছি। পরিচয় পেলে জানানো হবে।
+ There are no comments
Add yours