মিয়ানমারে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় রাখাইন রাজ্যে কিছু দিন ধরে সংঘর্ষ চলছে। যার প্রভাব পড়ছে প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর।
বিশেষ করে বান্দরবানের ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।
এদিকে প্রায়ই গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে তুমব্রু সীমান্তে। অন্যদিকে মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গাদের কয়েকজনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় ঢাকা পোস্টের। এক পক্ষ বলছে, সেখানে তারা চাপে আছে। অন্য পক্ষ বলছে, ঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে সেনাবাহিনী।
ফলে অনেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার কথা ভাবছেন। ফলে বাংলাদেশে আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর রোহিঙ্গাদের সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, এক মাস ধরে প্রতিদিন সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির শব্দ আসছে। গত কয়েক দিন যুদ্ধবিমান আর হেলিকপ্টার থেকে গোলা ছুঁড়তে দেখা গেছে। কিন্তু মিয়ানমার অংশে গুলির শব্দ আর থেমে থেমে মর্টারশেলের বিকট শব্দে প্রকম্পিত হয়ে উঠছে তুমব্রু সীমান্ত। কখনো তাদের মর্টারশেল উড়ে আসছে এ পাড়ে। শুক্রবারও উড়ে আসে মিয়ানমারের একটি গোলাবরুদ। সীমান্তে গা ঘেঁষে টহল দেয় সেদেশের সেনাবাহিনী।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস গণমাধ্যমকে বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে শুনেছি, এখনো কোনো মিয়ানমারের নাগরিক অনুপ্রবেশ করতে পারেনি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় এলাকাবাসীদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারে হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, সীমান্ত আইন-লঙ্ঘন নিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ করেছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে মিয়ানমারের উত্তপ্ত পরিস্থিতি গভীরভাবে অবলোকন করা হচ্ছে। নতুন করে আর একজন রোহিঙ্গাকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এজন্য সতর্ক রয়েছে বিজিবি।
+ There are no comments
Add yours