বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুলিশ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব পুলিশ একাডেমিস- ইন্টারপার ১১তম বার্ষিক সম্মেলন ঢাকায় শুরু হয়েছে।
পুলিশ স্টাফ কলেজের আয়োজনে রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
‘ডিজিটালাইজেশন অব পুলিশিং’ প্রতিপাদ্যে এ সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো.আখতার হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইন্টারপা সম্মেলনের উদ্বোধনে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ সম্মেলনের আয়োজক হতে পেরে আমরা সৌভাগ্যবান এবং আপনাদের উপস্থিতিতে সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি।
সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, আমরা যদি সাইবার জগতের সম্ভাব্য হুমকি ও ঝুঁকি সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করি, তাহলে পুলিশের সক্ষমতা ও উদ্যোগ বিফলে যাবে। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এখন সাইবার জগতের দিকে মনোনিবেশ করছে।
আইজিপি আরও বলেন, প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির ফলে কয়েক দশক ধরে অর্থনীতি, সামাজিক জীবনে উন্নতির ফলে অপরাধ এবং অপরাধীদের ধরনে পরিবর্তন এসেছে। অপরাধীরা নতুন নতুন পন্থায় অপরাধ করছে। তারা বিশ্বের অন্য দেশে বসেও সাইবার হামলা চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করতে পারে। অপরাধীরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে সাইবার হামলা করে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে। বিভিন্ন দেশের পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং উত্তম চর্চা অনুশীলন এখন সময়ের দাবি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও তথ্য-প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান বিকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং সাধারণ মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে।
আইজিপি আরও বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংগঠিত অপরাধ মোকাবিলায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা ইতিমধ্যে সাইবার জগতে সংগঠিত অপরাধ মোকাবিলায় সক্ষমতা প্রমাণে সমর্থ হয়েছি।
পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ৪৪টি দেশের ১২৭ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন।
+ There are no comments
Add yours