পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, হামলা ও নাশকতার বিভিন্ন মামলায় দেশের বিভিন্ন জেলার বিএনপির প্রায় ৬০০ নেতাকর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ নেতাকর্মীদের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং ভোলায় ছাত্রদল নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম নিহতের প্রতিবাদ এবং প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল করে বিএনপি। ওই কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় মামলা হয়।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন ও মাহবুবুর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া।
জামিন প্রাপ্তদের মধ্যে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভুঁইয়া, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম মান্নান, বিএনপির আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল, ফেনীর সোনাগাজীর উপজেলা বিএনপির সভাপতি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনসারুল হক, সোনারগাঁওয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, বরগুনার পাথরঘাটার সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, কামরুল ইসলাম রয়েছেন।
এছাড়া ঝিনাইদহ, ফেনী, ঠাকুরগাঁও, নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলার বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ২১৭ জন, ফরিদপুর ৮৫, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ৩৫, কিশোরগঞ্জের সদর, পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদী থানার ১১৫ জন, বরগুনার পাথরঘাটা ও বামনার ৮৩ জন, নাটোরের লালপুরের ৫৬ নেতাকর্মী জামিন পেয়েছেন।
+ There are no comments
Add yours