বৈশ্বিক অর্থনীতির দুরাবস্থার কারণে দেশে ডলার সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। কয়েকদিন বিরতি নিয়ে আবারও বাড়ছে দাম। তবে খোলাবাজারে বাড়তি দামেও নগদ ডলার পাওয়া যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজার ঘুরে দেখা যায়, ডলার কেনার ক্ষেত্রে ১০৭ এবং বিক্রির ক্ষেত্রে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সার সাইনবোর্ড টানিয়ে রেখেছে অধিকাংশ এক্সচেঞ্জ হাউজ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ‘টাকার বিনিময় মূল্য’ অংশে বলা হয়েছে, চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে এবং বাফেদার নির্দেশনা অনুযায়ী আন্তঃব্যাংক লেনদেন এবং গ্রাহক লেনেদেনের জন্য টাকার বিনিময়মূল্য নির্ধারণ করছে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিদিন এটা আর নির্ধারণ করবে না।
সে অনুযায়ী ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য ১৪ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ১০৬ টাকা ৬০ পয়সা দেওয়া আছে।
কিন্তু তাদের কাছে কোনো ডলার নেই। বিভিন্ন মানিচেঞ্জার ঘুরে ফকিরাপুলের মনডিয়াল মানি এক্সচেঞ্জের এক প্রতিনিধি জানান, ডলার পাওয়া যাবে তবে অন্য হাউজ থেকে এনে দিতে হবে। এর জন্য গুণতে হবে বাড়তি টাকা। সোহেল হোসেন নামের ওই কর্মী জানান, আজ আমরা ১১২ টাকা ৫০ পয়সাতে ডলার কিনছি এবং বিক্রি করছি ১১৩ টাকা ৪০ পয়সা দরে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে খোলা বাজারে ডলার কেনাবেচা কম, তাই সংকট। তবে নির্ধারিত দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। যারা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সতর্ক করেছি।
এর আগে, মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের আন্তঃব্যাংক লেনদেনের মূল্য পরিবর্তন করে। সরকারের বিভিন্ন আমদানির বিলসহ বাজারে ডলার সরবরাহ ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে রেটে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করতো, এতোদিন সেই রেটই প্রকাশ করছে। এটাকেই আন্তঃব্যাংক ডলার রেট বলা হতো। তবে গতকাল থেকে তা পরিবর্তন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দর ‘নয়’, ব্যাংকগুলোর নিজেদের মধ্যে লেনদেন করা ডলারের দর প্রকাশ করছে।
+ There are no comments
Add yours