ফটিকছড়ির উপজেলার ভুজপুর থানা ২নং দাতঁমারা ইউনিয়নপর হেয়াঁকো বনানী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক, একইসঙ্গে চাকরি করছিলেন মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবেও।
এভাবে একইসঙ্গে দুটি চাকরি করে অর্ধকোটি টাকার অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তিনি। নাম তার কানু কুমার নাথ (৫৮)। এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী ৩ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কানু কুমার নাথ (৫৮)। দীর্ঘদিন সরকারি এই দায়িত্ব পালনে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন তিনি।
তথ্য গোপন ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে পাশপাশি কর্মরত ছিলেন ফটিকছড়ির হেঁয়াকো বনানী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক পদে কর্মরত ছিলেন। ২৮ বছর ধরে দুই পদে চাকরি করে সরকারি কোষাগার থেকে অন্তত অর্ধকোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান শেষে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম বাদি এ মামলা দায়ের করেন।
দুদক জানায়, ১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ৩ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদে যোগদান করেন চট্টগ্রামের মিরসরাই কমলদহ খাজুরিয়া গ্রামের বিহারী নাথের পুত্র কানু কুমার নাথ। সরকারি এই চাকরি থাকাকালীন ৮ মে ১৯৯৪ সালে ফটিকছড়ির হেঁয়াকো বনানী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক (এমপিওভুক্ত) পদেও যোগদান করেন তিনি।
সরকারি এই দুই চাকরিতে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন তিনি। দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, দুই পদে চাকরি করে সরকারি কোষাগার থেকে ৫০ লাখ ৫৭ হাজার ২৩৯ টাকা সরকারি অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন তিনি।
এতে দন্ডবিধি ৪২০ ও ৪০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে অপারাধ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ উপপরিচালক (ডিডি) মো. আতিকুল আলম।
+ There are no comments
Add yours