
আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করতে কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষ থেকে।
কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মেয়রের পক্ষ থেকে দেওয়া কঠোর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় অসংখ্য অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে।
এতে মূল্যবান জাতীয় সম্পদ বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে। কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা অবৈধ অটোরিকশা চলাচল বন্ধে ব্যবস্থা নেবেন।
ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক কর্মকর্তারা পুলিশের সহায়তায় আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
গত মঙ্গলবার ডিএনসিসির নগর ভবনে ১৬তম করপোরেশন সভায় ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের বিষয়টি নিয়ে জোরালো আলোচনা হয়। এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এক কাউন্সিলর নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওই সভায় মেয়রের কড়া নির্দেশনা ছিল ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের উদ্যোগের বিষয়ে।
অন্যদিকে, সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে ২৮ হাজার রিকশার লাইসেন্স দেওয়া ছিল। কিন্তু এখন প্রায় দশ লাখের বেশি রিকশা চলছে। এগুলো কোনো শৃঙ্খলার মধ্যে নেই, কোনো ডাটাবেজ নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগের অনিবন্ধিত রিকশা তুলে দিয়ে নতুন করে কিউআর কোডযুক্ত দুই লাখ রিকশার নিবন্ধন দেব।
তিনি বলেন, আগের যেসব রিকশা আছে সেগুলো ক্লোজ করা হবে এবং শুধুমাত্র কিউআর কোডযুক্ত রিকশা চলবে ঢাকার রাস্তায়। কিউআর স্ক্যান করলেই বোঝা যাবে এই রিকশা কোথাকার, মালিক কে, গ্যারেজ কোথায়।
অর্থাৎ যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে এ কিউআর কোডের মাধ্যমে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য আমরা বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু ব্যাটরিচালিত রিকশা সেই বিদ্যুৎ অপচয় করছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব।
+ There are no comments
Add yours