শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার ভুলতা এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ শাখা যুবলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় দফায় দফায় দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাতে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল নেতা মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি মশাল মিছিল বের করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বলাইখা থেকে ভুলতা বাসস্টেশনের দিকে আসে।
এ সময় যুবলীগ নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করলে উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করলে এক পর্যায়ে তারা পিছু হটে।
ওই ঘটনার পর রূপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচির প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জ্বালাও পোড়াও করার উদ্দেশ্যে রাতে মশাল নিয়ে বের হয়েছে। তারা মশাল মিছিল নিয়ে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করতে গেলে যুবলীগের কর্মীরা বাধা দেয়। তাদের বাধা দেওয়ায় তারা যুবলীগের কর্মীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ধাওয়া করে। পরে যুবলীগের কর্মীদের ধাওয়ায় পালিয়ে যায় তারা। এই দেশে বিএনপি-জামায়াতকে কোনো ধরনের জ্বালাও পোড়াও করতে দেওয়া হবে না।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে আহত যুবলীগ নেতা রুহুল আমিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ও ছাত্রদল নেতা মাসুদুর রহমান, মাসুম মিয়া, অন্তর, জাহিদ হাসান হৃদয়, অনিক, সাহাবুদ্দিন ও তার বোন রেহানাকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours