চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে।
নগরীর কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশ হয়।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কেন্দ্র ঘোষিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর কমিটির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন।
জানা গেছে, বিএনপি নেতা আবদুস সাত্তারের বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে নেতাদের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। পরে পেছনে বসা নেতাকর্মীদের মধ্যে হট্টগোল হয়। তখন হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়েছে। তবে শাহাদাতসহ সিনিয়র নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ডা. শাহাদাত বলেন, পত্রিকায় দেখলাম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আওয়ামী লীগের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিজয়ের জন্য দোয়া মোনাজাত করছেন। তিনি এই নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে আবার তাদের উদ্দেশে বক্তৃতাও দিয়েছেন।
সেখানে তিনি শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনতে বিএনপি জামায়াতের দোয়াও চেয়েছেন। আমরা বুঝতে পারছি না, উনি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক নাকি চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি? একজন রিটার্নিং অফিসার হিসেবে তিনি শুধু আচরণবিধিই লঙ্ঘন করেননি, নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করে নিরপেক্ষতা হারিয়ে নির্লজ্জ দলবাজের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। যদি দলবাজী করতে হয় তাহলে চেয়ার ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিন। এই মুহূর্তে চট্টগ্রামের ডিসিকে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন প্রমুখ।
+ There are no comments
Add yours