জুনায়েদ সিদ্দিক হাসিব। বাসা শেরপুর সদরের বাগরাকসা এলাকায়। পড়ে শেরপুরের একটি স্কুলে। শুক্রবার শহরের বাসা থেকে সাইকেলটি চুরি হয় তার। প্রতিকার পেতে হাসিব যায় শেরপুর সদর থানায়। সেখানে গিয়ে পুলিশের কাছে সাইকেল চুরির বিষয়টি জানায় সে।
হাসিব এতটাই সংক্ষুব্ধ ছিল যে, সাইকেল না নিয়ে কোনোভাবেই থানা ছাড়তে চায়নি সে। সঙ্গে আসা মাকে নিয়ে থানাতেই অবস্থান নেয় স্কুলছাত্র। বিষয়টি হাসিবের মা জানান তার সেনাসদস্য স্বামী জাহাঙ্গীর আলম জুয়েলকে।
বর্তমানে কাতারে মিশনে থাকা জুয়েল বিষয়টি বুঝতে পেরে কল করেন শেরপুর জেলা পুলিশের নতুন সংযোজন ‘টক টু এসপি’তে।
শেরপুরের নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান, বিপিএমের সংযোজন এই হটলাইন। তিনি বিষয়টি নিয়ে হাসিবের সঙ্গে কথা বলে শনিবার তাকে সাইকেল দেওয়ার আশ্বাস দেন। সে কথা শুনে মাকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে যায় হাসিব। কথা অনুযায়ী শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে হাসিবের হাতে নতুন সাইকেল তুলে দেন শেরপুরের এসপি।
শেরপুরের এসপির উপহারের সাইকেল নিয়ে মায়ের সঙ্গে স্কুলছাত্র জুনায়েদ সিদ্দিক হাসিব। ছবি: সংগৃহীত জাগো নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, শহরের এস এম পাবলিক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র হাসিব। সাইকেলে করে সে নিয়মিত স্কুল ও কোচিংয়ে যাতায়াত করত। এ কারণে বাহনটি পেতে মরিয়া ছিল সে।
শেরপুরের নবাগত এসপির কাছ থেকে উপহারের সাইকেল পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন স্কুলছাত্রের মা তাসলিমা বেগম। তিনি জানান, সাইকেল হারিয়ে ভেঙে পড়েছিল হাসিব। তার বাবা চাইলেই নতুন সাইকেল কিনে দিতে পারতেন।
কিন্তু ছেলের জেদের কারণে তিনি বিদেশ থেকে ফোন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শেরপুরের এসপি তাঁর ছেলেকে নতুন সাইকেল উপহার দিয়েছেন। ‘টক টু এসপি’ নামের সেবাটি নিয়ে হাসিবের মা বলেন, ‘নবাগত এসপি এসেই হটলাইন সেবাটি চালু করেছেন। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ খুব সহজেই তাদের যেকোনো সমস্যার কথা সরাসরি তাঁকে (এসপি) বলতে পারছেন। তাতে সমাধানও মিলছে দ্রুত।’
সাইকেল উপহার দেওয়ার বিষয়ে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম বলেন, ‘মানবিক পুলিশ সর্বদা মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশের প্রতি শিশু হাসিবের অগাধ বিশ্বাস আমাদের মুগ্ধ করেছে। সাইকেল হারানোর কষ্ট লাঘবে আমরা তাকে এই ছোট উপহারটি দিয়েছি।’
+ There are no comments
Add yours