আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। হামলার দায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। হামলায় ৩৩ জন নিহত হয়েছেন এবং নিহতদের মধ্যে ছাত্রীরাও রয়েছে।
বিস্ফোরণটি ঘটেছে কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলে। এখানে বসবাসকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই জাতিগত শিয়া সংখ্যালঘু হাজরা গোষ্ঠীর মানুষ। এই গোষ্ঠীর লোকেরা অতীতে অতি-কট্টরপন্থী ইসলামিক স্টেট এবং অন্যান্যদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান জানিয়েছেন, সরকারি তথ্য অনুযায়ী হামলায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, প্রবেশিকা পরীক্ষা চলার সময় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই হামলার ঘটনা ঘটে। তবে আফগানিস্তানে সাধারণত শুক্রবার স্কুল বন্ধ থাকে।
এদিকে হামলায় নিহতের সংখ্যা সরকারিভাবে আরও বাড়তে পারে। হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলায় ২৩ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম সাদিক জানান, তিনি বাড়িতেই ছিলেন এবং একপর্যায়ে একটি বিকট শব্দ শুনতে পান। পরে শিক্ষা কেন্দ্র থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখে তিনি এবং প্রতিবেশীরা সাহায্য করতে ছুটে যান।
তিনি বলেন, ‘আমি এবং আমার বন্ধুরা বিস্ফোরণস্থল থেকে ১৫ জন আহত ও ৯টি মৃতদেহ নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি … অন্যান্য মরদেহ ক্লাসরুমের ভেতরে চেয়ার ও টেবিলের নিচে পড়ে ছিল।’
২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের দখল নেয় তালেবান। এরপর থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি দাবি করেছিল যে তারা কয়েক দশকের যুদ্ধের পরে দেশকে সুরক্ষিত করছে। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আফগানিস্তানে বহু মসজিদ এবং বেসামরিক এলাকায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
+ There are no comments
Add yours