মোংলা উপজেলায় মিঠাখালী ইউনিয়নে একটি বসৎ বাড়ি থেকে ৯ ইঞ্চি লম্বা ও ৩৫০ গ্রাম ওজনের একটি তক্ষক উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (০৫ সেপ্টেম্বর) রাত ০৮ টায় মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের নিলুফা বেগমের বাড়ির কাঠের ঘর থেকে তক্ষকটি উদ্ধার করা হয়। বাড়ির মালিক নিলুফা বেগম জানায়, কাঠ আনতে গিয়ে তক্ষকটি আমি দেখতে পাই।
পরে ইউপি সদস্য উকিল উদ্দিন ইজারদারকে জানালে তাৎক্ষণিক তিনি জিউধরা স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ শাহাজাহান মোক্তাদিরকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে তিনি তার বনকর্মীদের তক্ষকটি উদ্ধার করেন।
পরে কাটাখালী টহল ফাড়ীতে তক্ষকটিকে অবমুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধরা স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাজাহান মোক্তাদির বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আমি সঙ্গীয় বহন কর্মচারীদের নিয়ে মোংলা উপজেলার মিঠাখালী গ্রামে যাই।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার উকিল উদ্দিন ইজারদার সহ আমরা নিলুফা বেগমের স্বামী কামাল গোলদারের মিঠাখালীর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আটকে রাখা তক্ষক টি উদ্ধার করি। এটি গৃহিণী নিলুফা বেগম লাকড়ীর নিচে পেয়ে আটক রেখে ইউপি মেম্বারের মাধ্যমে বন বিভাগকে খবর দেন। সংবাদ পেয়ে আমি গতকাল রাত আট টায় উদ্ধার করে আজ সকাল ৯ টায় চাঁদপাই রেঞ্জের কাটাখালি বনাঞ্চলে অবমুক্ত করি। এটি লম্বায় ৯ ইঞ্চি ওজন ৩৫০ গ্রাম।
তিনি আরো বলেন, সুন্দরবন রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। কিছু কুচক্র মহল আছে এই তক্ষক বিক্রি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গুজব সৃষ্টি করেন। আপনারা বন্যপ্রাণীর কোন ক্ষতি করবেন না। দেখা মাত্র আমাদের বলবেন আমরা ফরেষ্ট বিভাগ ও আমাদের সুন্দরবনের সেচ্ছাসেবক আছে তারা দ্রুত উদ্ধার করার চেষ্টা করবো।
উদ্ধার করা তক্ষকটি চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলামের নির্দেশক্রমে কাটাখালী টহল ফাড়ীর বনের ভিতরে আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় অবমুক্ত করা হয়। সর্বশেষে কাটাখলী টহল ফাড়ীতে বৃক্ষরোপন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জিউধরা স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ শাহাজাহান মোক্তাদির,কাটাখালী টহল ফাড়ীর ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম সহ বনকর্মী, বাঘবন্ধু সদস্য সাংবাদিক মোঃ মারুফ হাওলাদার বাবু,বিটিআরটি সদস্য মোঃ হাকিম, সিপিজি সদস্য মোঃ পিন্টু, মোঃ ইমরান, সুন্দরবন ইউপি ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ কাওছার সহ প্রমুখ।
+ There are no comments
Add yours