
ডিজিটাল জীবনযাত্রা, প্রাত্যহিক ও সামাজিক জীবনে ডিজিটাল সুবিধার ব্যবহার ও ভোগ সম্পর্কিত বৈশ্বিক সূচক ডিজিটাল কোয়ালিটি অব লাইফ ইনডেক্সে (ডিকিউএল) গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ২৭ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের।
২০২১ সালে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৩। চলতি বছরের সূচকে ৭৬তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ এক বছরে বাংলাদেশ ২৭ ধাপ এগিয়েছে।
ডিকিউএল সূচকটি পরিচালনা করে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) পরিষেবা কোম্পানি সার্ফশার্ক। সূচকে বিশ্বের ১১৭টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বৈশ্বিক জনসংখ্যার শতকরা হিসাবে এতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে পৃথিবীর ৯২ শতাংশ জনগণ। ২০১৮ সাল থেকে পরিচালিত হচ্ছে ডিকিউএল সূচক।
ডিজিটাল জীবন সম্পর্কিত ৫টি মৌলিক খাত বা স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয় ডিকিউএল। এ স্তম্ভগুলো হলো ই-গভর্ন্যান্স, সাধারণ জনগণের ইন্টারনেট ডাটা ক্রয়ের ক্ষমতা, ইন্টারনেট পরিষেবার গুণাগুণ, ইন্টারনেট সম্পর্কিত নিরাপত্তা এবং এ সম্পর্কিত অবকাঠামো। এ খাত সমূহে প্রাপ্ত পয়েন্টের গড় হিসেবে ডিকিউএল সূচকে অন্তর্ভুক্ত কোনো দেশের অবস্থান নির্ধারিত হয়।
চলতি বছর সূচকের ই-গভর্ন্যান্স খাতে বাংলাদেশের ফলাফল সর্বনিম্ন। এই খাতে চলতি বছর বাংলাদেশের অবস্থান ৮৬তম।
আর সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে জনগণের ইন্টারনেট ক্রয় ক্ষমতা সম্পর্কিত খাতে। এই বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমান বিশ্বে ২৯তম।
এছাড়া ইন্টারনেট পরিষেবার গুণাগুণে ৬৭তম, ইন্টারনেট সম্পর্কিত নিরাপত্তায় ৭৫তম এবং ইন্টারনেট অবকাঠামোতে ৮৫তম বৈশ্বিক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
আর ইন্টারনেটের গতি, স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধির হিসাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৬৭তম অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে ডিকিউএল।
বিশ্বজুড়ে প্রধানত দুই ধরনের ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের ব্রডব্যান্ড সংযোগের মান মোবাইল সংযোগের তুলনায় বেশ ভালো।
ব্রডব্যান্ড সেবার দিক থেকে বিশ্বে ৭৮তম অবস্থানে আছে দেশ, আর মোবাইল পরিষেবার দিক থেকে আছে ১১৫তম স্থানে।
দুই পরিষেবাতেই অবশ্য বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে ভারত। প্রতিবেশী এই দেশটির মোবাইল ইন্টারনেটের গতি বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি। আর ভারতের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি বাংলাদেশের চেয়ে ৩৪ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশের ইন্টারেনেটের গুণাগুণ মাঝারি পর্যায়ের। সার্ফশার্কের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দিন দিন বাংলাদেশের ইন্টারনেট পরিষেবার উন্নতি হচ্ছে, তবে এই খাতে আরও উন্নয়ন প্রয়োজন।’
ডিজিটাল পরিষেবা সংক্রান্ত এই সূচকে চলতি বছর একক দেশ হিসেবে শীর্ষে আছে ইসরায়েল। অর্থাৎ ডিকিউএলভুক্ত ১১৭টি দেশের মধ্যে ইসরায়েলের ডিজিটাল জীবনযাত্রা সবচেয়ে উন্নত।
ইসরায়েলের পর ২য় স্থানে রয়েছে পশ্চিম ইউরোপের দেশ ডেনমার্ক, জার্মানি রয়েছে ৩য় স্থানে এবং ফ্রান্স ও সুইডেন রয়েছে যথাক্রমে ৪র্থ ও ৫ম স্থানে।
মহাদেশের নিরিখেও এশিয়া মহাদেশের অন্যান্য দেশের তুলনায় ইসরায়েলের ডিজিটাল জীবনযাত্রা সবচেয়ে উন্নত। আমেরিকা অঞ্চলে এই খাতে শীর্ষে আছে সযুক্তরাষ্ট্র। আফ্রিকা মহাদেশভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণ সবচেয়ে উন্নত ডিজিটাল পরিষেবা ভোগ করেন। আর ওশোনিয়া মহাদেশের দুই বড় দেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে ডিজিটাল জীবনযাত্রায় এগিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড।
কেবি২৪/২৯৩৬৩
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
                        
                
                                    
                                    
                                    
                            
                            
                            
                                                        
                                
                        
                                                
                                                
                                                
                                                
                                                
                                                
                                                
                                                
+ There are no comments
Add yours