২০২১ সালের সমীক্ষা অনুসারে র্যাঙ্কিং রয়্যালসের এক জরিপে বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে টি-শার্ট রফতানিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।
টি-শার্ট রফতানিতে চীনের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। বিশ্বের ১৫ শতাংশ টি-শার্ট বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয়ে থাকে, যার বাজারমূল্য ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশের আগে থাকা চীন বিশ্বের ১৬ দশমিক ১ শতাংশ টি-শার্ট রফতানি করে থাকে, যার বাজারমূল্য ৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।
শুধু টি-শার্ট নয়, র্যাঙ্কিং রয়্যালসের আরেক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সামগ্রিকভাবে গার্মেন্টস পণ্য রফতানিতে বাংলাদেশ বৈশ্বিক তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশের ৮৩ শতাংশ রফতানি আয় নির্ভর করে রেডিমেড গার্মেন্টস পণ্যের ওপর। মূলত সস্তা শ্রম ও বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদনের সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
২০২০ সালের হিসাব থেকে দেখা যায়, শুধু গার্মেন্টস পণ্য রফতানি করেই বাংলাদেশের আয় হয়েছে ৩৮ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। ২০১৩ সালে এ আয় ছিল ১৯ বিলিয়ন ডলার। মাত্র সাত বছরে এত বড় উল্লম্ফনকে বাংলাদেশের জন্য বড় একটি অর্জন হিসেবে গণ্য করছেন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশ্লেষকরা।
পোশাক রফতানিতে প্রথম স্থানে রয়েছে চীন। ১৯৯৩ সাল থেকে দেশটি পোশাক রফতানিতে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। বিশ্বের প্রায় ৫২ দশমিক ২ শতাংশ পোশাক রফতানি করে চীন। ২০২১ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশটির ১২ হাজার ৫৫৭টি প্রধান রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ১ দশমিক শূন্য ৫ ট্রিলিয়ন ইউয়ান মূল্যের পোশাক রফতানি করেছে।
২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পোশাক রফতানিতে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখলেও র্যাঙ্কিং রয়্যালসের প্রতিবেদন অনুসারে পোশাক রফতানিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জার্মানি। দেশটির পোশাকখাতে বার্ষিক রফতানি আয় ৪০ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে পোশাকশিল্পকে আরও বিস্তৃত করতে গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে আসছে বাংলাদেশ। সাধারণ গার্মেন্টস খাতের পাশাপাশি টেকনিক্যাল গার্মেন্টস খাতের দিকেও বিশেষভাবে নজর দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) এক জরিপে দেখা যায়, বর্তমানে বিশ্ববাজারে এই টেকনিক্যাল গার্মেন্টেসের ১৭৯ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে যা বেড়ে ২২৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক’দিন আগেও বাংলাদেশে একটি কিংবা দুটির বেশি টেকনিক্যাল পোশাক কারখানা ছিল না। বর্তমানে দেশে ২৫টি টেকনিক্যাল পোশাক কারখানা রয়েছে। বিজিএমইএ-র লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে এ খাতে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের পণ্য রফতানি করা।
+ There are no comments
Add yours