তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে মেঘের রাজ্য খ্যাত রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালি।
প্রায় দ্বিগুণ পর্যটক সাজেকে প্রবেশ করায় কটেজ-রিসোর্টে রুম সংকট দেখা দিয়েছে। রুম না পেয়ে স্থানীয় লোকজনের বাড়ি ভাড়িতে ও মসজিদের বারান্দায় রাত কাটিয়েছেন অনেকে।
বুধবার (৫ অক্টোবর) পর্যটকদের সরব উপস্থিতির পর শুক্রবার (৭ অক্টোবর) থেকে ফের পর্যটকদের পদচারণায় মুখর সাজেক ভ্যালি।
জানা যায়, শুক্রবার (৭ অক্টোবর) প্রায় ৫ হাজারের মতো পর্যটক সাজেকে এসেছেন। যদিও সাজেকের ১১২টি কটেজে পর্যটক থাকতে পারে চার হাজারের মতো। সাজেকে আসা পর্যটকদের অনেকেরই ছিল না আগাম বুকিং।
এতে রুম না পাওয়ায় অনেক পর্যটক বিকেলেই ফেরত আসেন। যারা থেকে গিয়েছেন তাদের অনেকেই বিভিন্ন কটেজের বারান্দায় এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে রুম ভাড়া নিয়ে রাত পার করেছেন।
এদিকে শনিবার (৮ অক্টোবর) পর্যটকবাহী ১৫০টি গাড়ি সাজেকে এসেছে। যেটা গতকাল ছিল প্রায় ২০০। পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িতে আসা পর্যটকদের সংখ্যা মিলিয়ে চার হাজারের বেশি পর্যটক বর্তমানে সাজেকে আছেন। তবে গাড়িতে বা মসজিদের বারান্দায় রাত কাটানোর মতো পরিস্থিতি আজ নেই।
স্থানীয় সাংবাদিক মো. আকতার হোসেন লিখেছেন, সাজেক এখন বস্তিতে রূপান্তর।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, আমরা রিসোর্টগুলোকে শক্ত নির্দেশনা দিয়েছি ধারণ ক্ষমতার বাইরে যাতে কোনো বুকিং না নেয়। কিন্তু অনেকেই বুকিং না দিয়েই সাজেক চলে আসছেন, তাই তারা থাকার জায়গা পাচ্ছেন না। সাজেকে ১০০-এর বেশি রিসোর্ট আছে।
আমরা যদি গড়ে ২৫ জন করেও ধরি তাও ২৫০০-এর বেশি পর্যটক থাকতে পারে না। কিন্তু ধারণক্ষমতার বেশি পর্যটক চলে আসায় এই সমস্যার সৃষ্টি। সাজেকে প্রবেশের বিষয়টা যেহেতু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেখভাল করে, তাই আমরা উনাদের অবগত করেছি যাতে অগ্রিম বুকিং না থাকা পর্যটকদের সাজেক প্রবেশে নিরুৎসাহিত করে।
+ There are no comments
Add yours