আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। দিনটি পালন করতে দেশব্যাপী নানা আয়োজন করেছে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন।
তবে এবারের চিত্র আলাদা। বিশ্ব রেকর্ডের লক্ষ্যে এবার মাঠে নেমেছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় জশনে জুলুসের রেকর্ড করবে চট্টগ্রামের আজকের এই জুলুস।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে অংশ নিয়েছে অর্ধকোটি মানুষ। নানা শ্রেণি পেশা ও বয়সের মানুষ এতে শরিক হয়েছেন। সবার মুখে ছিল হামদ, নাত, দরুদ আর স্লোগান।
রবিবার (০৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় নগরীর মুরাদপুরপর আলমগীর খানকা শরীফ থেকে পবিত্র মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুস শুরু হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া ট্রাস্ট চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় জুলুস বা শোভাযাত্রার আয়োজন করে।
আলমগীর খানকা শরীফ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে বিবিরহাট, মুরাদপুর, ষোল শহর, ২নং গেইটে ইউ টার্ন হয়ে আবার মুরাদপুর হয়ে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা মাঠে গিয়ে জুলুস শেষ হবে।
এরপর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা মাঠে মাহফিল, ও আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আখেরি মোনাজাতে সারা বিশ্বের শান্তির জন্য দোয়া করা হবে।
আঞ্জুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, জুলুসে অংশ নিতে ভোর থেকেই নবীপ্রেমী মানুষ চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে জড়ো হয়েছেন জামেয়া মাদ্রাসা মাঠও আশপাশের এলাকায়। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর সংক্ষিপ্ত পরিসরে জশনে জুলুস সিমিত পরিসরে হয়েছিল। এবার জুলুসে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ অংশ নিয়েছে।
জুলুসের শৃঙ্খলা এবং মাহফিলের আদব রক্ষায় আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের পাশাপাশি কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে জুলুস দেখতে সড়কের পাশে জড়ো হয়েছেন হাজারো মানুষ। এসময় শরবত, কমলা, চকলেট, পানিসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে দেখা যায়। এছাড়া জুলুসের পতাকা, ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, তোরণে সেজেছে চট্টগ্রাম নগরের সড়ক, মোড় ও সড়ক বিভাজক। জশনে জুলুস উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় এ জুলুস অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
+ There are no comments
Add yours