দুর্যোগে রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা মানবিক কার্যক্রম চালাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

Estimated read time 1 min read
Ad1

দেশের যেকোনো দুর্যোগে রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা সাহসিকতা ও সাফল্যের সঙ্গে দেশব্যাপী মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) ‘৬ষ্ঠ যুব সমাবেশ-২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ও সিটি ইউনিটের উদ্যোগে ৬ষ্ঠ যুব সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ও সিটি ইউনিটের উদ্যোগে ৬ষ্ঠ যুব সমাবেশ-২০২২ উপলক্ষে স্মরণিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।

জেলা ও সিটি ইউনিটের আওতাধীন স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা ও মুক্তদলের যুব রেড ক্রিসেন্ট সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষিকা, স্বেচ্ছাসেবক, সোসাইটির কর্মকর্তাসহ সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সবাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে সমন্বিত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে আমরা ‘স্ট্যান্ডিং অর্ডার অন ডিজাসটার’ প্রণয়ন করি। ২০১০ সালে এটি সংশোধন করে সময়োপযোগী করা হয়েছে। এছাড়া আমরা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০১১ প্রণয়ন করেছি।

১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২ প্রণয়ন করেছি। ২০১২ সালে আমরা ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়’ নামে আলাদা মন্ত্রণালয় এবং ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করি। আমরা ইতোমধ্যে ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ গ্রহণ করেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, যুব রেড ক্রিসেন্ট, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অন্যতম একটি শক্তিশালী ও যুব কার্যক্রমে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী ইউনিট। কোভিড-১৯ মহামারি সময়ে যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রাম এর রয়েছে অতুলনীয় সুনাম। আর এর অন্যতম কারণ হচ্ছে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত যুবশক্তি। যুব সম্পদকে উন্নত ও প্রশিক্ষিত করতে এই সমাবেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্ত্বাধীন সরকারের সময়েই যুব রেডক্রিসেন্ট কার্যক্রমকে ‘সহশিক্ষা কার্যক্রম’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সমাবেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে সব অংশগ্রহণকারী কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি স্ব-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আগামীতে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ, সুন্দর, সবুজ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে, এ আমার প্রত্যাশা।

সূত্রঃ বাসস
নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours