টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুই জয়। বাংলাদেশের সামনে হাতছানি ছিল ইতিহাস গড়ে সেমিফাইনালে খেলার।
কিন্তু বাজে ব্যাটিং-বোলিং ও বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে টাইগারদের। ৫ উইকেটের হারে গ্রুপপর্বেই বিশ্বকাপযাত্রা শেষ হলো সাকিব আল হাসানদের।
অন্যদিকে, ছিটকে যাবার শঙ্কায় থাকা পাকিস্তান ফিনিক্স পাখির মতো ঘুরে দাঁড়িয়ে ভারতের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল।
দারুণ শুরুর পর ব্যাট হাতে ফ্লপ। এরপর বোলারদের সেই স্বল্প পুঁজি নিয়ে লড়াইটার শুরুতেই ক্যাচ ড্রপ! ব্যস, এভাবেই শেষ বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
সেমিফাইনালে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। আর ভারত লড়বে আরেক ম্যাচে ইংল্যান্ডের সঙ্গে!
রোববার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশের সকালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নেদারল্যান্ডসের অঘটনে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশেরও কপাল খুলে যায়।
প্রোটিয়াদের হারে সমীকরণটা এমন দাঁড়ায় যে, পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই শেষ চারে চলে যাবে বাংলাদেশ। শেষ চারে থাকতে পারত বাংলাদেশের নাম। মঞ্চটা তো তৈরিই করে দিয়েছিল ডাচরা। রোববার সেই মঞ্চে আলো ছড়াতে পারলেন না টাইগাররা।
কার্যত নকআউট ম্যাচ খেলতে নেমে সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ। অ্যাডিলেডে সব বিভাগেই ব্যর্থ দল। সেই সঙ্গে সাকিবের বিতর্কিত আউটের সিদ্ধান্ত তো আছেই।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শান্তর ফিফটির পরও ১২৭ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাঝে কিছুটা বিপর্যয় ছাড়া বলতে গেলে বেশি বেগ পেতে হয়নি পাকিস্তানকে। সেমি নিশ্চিত করার ম্যাচে ১১ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় পায় বাবর আজম বাহিনী।
+ There are no comments
Add yours