জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ লঞ্চে ঢাকার সদরঘাটে পৌঁছানোর পর গাড়িতে উঠে কিছুদূর অগ্রসর হলে র্যাব ৩-এর একটি টিম এসে গাড়ি আটক করে। পরে সবাইকে র্যাবের কার্যালয়ে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পল্টন থানা কর্তৃপক্ষ। পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হেয়েছে।
এর আগে রোববার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সুলতানা আহমেদ এখন র্যাব ৩-এর কার্যালয়ে। এ ঘটনা শুধু অমানবিকই নয়, একজন সম্মানিত নারী নেত্রীর প্রতি চরম অবমাননা এবং সরকারপ্রধানের ব্যক্তিগত ক্রোধ চরিতার্থ করার বর্ধিত প্রকাশ। শুধু বিরোধী দলীয় পুরুষ নেতাকর্মীরাই নয়, নারী নেত্রীরাও সরকারি আক্রোশ থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
রিজভী বলেন, শিশু-বৃদ্ধ-নারী-পুরুষ প্রত্যেকেই ভয়ানক ভয়ের পরিবেশের মধ্যে দিনযাপন করছে। সরকারের বিরুদ্ধে সত্য উচ্চারণের কারণে যে কেউ মারাত্মক সরকারি জুলুমের মধ্যে পড়তে পারে। মহিলা দলের সম্পাদক সুলতানা সেই জুলুমের শিকার হয়েছেন। অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলা মানেই বন্দুকের নিশানা হওয়া।
সুলতানা আহমেদকে আটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জোর আহ্বান জানান রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা মো. মুনির হোসেন, আলী আকবর চুন্নু, ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
+ There are no comments
Add yours