সুজন চৌধুরী আলীকদম,বান্দরবান প্রতিনিধিঃ
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার ২ নং চৈক্ষ্যং ইউপির মন্নান মেম্বার পাড়াতে সরকারি গ্রামীণ রাস্তা কেটে ফসলি জমি তৈরি করছে।চৈক্ষ্যং ইউনিয়নে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত গ্রামীণ রাস্তা কেটে তা ফসলি জমিতে পরিণত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার ৩ টায় ১০ মিনিটের সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় এক বাসিন্দা। মন্নান মেম্বার পাড়া এলাকার নিম্ম স্বাক্ষরকারীগণ গ্রামের বাসিন্দা নামে এ অভিযোগ করেন।
সরেজমিনে গতকাল সোমবার দেখা গেছে, প্রায় ১০ ফুট চওড়া ওই রাস্তার পাশের কিছু অংশ প্রায় ৫০ ফুট কেটে ফসলি জমি করা হয়েছে। সড়কের যেটুকু অংশ অবশিষ্ট রয়েছে সে পাশ দিয়ে হেঁটে চলাই কষ্টকর হয়ে পড়ে। রাস্তার পাশের একটি বাড়ির খামার বাড়ি ছিল বলে এলাকা বাসি জানায়, সড়কটি ১৯৮০ -৮১ইং সালে তৈরী করা হয়।তবে এই সড়কপথ দিয়ে লামা- আলীকদমে চলাচলের উপযুক্ত পথ হিসাবে ব্যহার করতো এলাকার জনসাধারণ। বর্ষাকালে মানুষ চলাচল কমে যাওয়ার কারণে রাস্তাবন্ধ করতে না পেরে এখন সড়কটি কেটে ফেলে অভিযুক্ত ব্যাক্তি, আরেক প্রতিবেশী আব্দু ছালাম (৬০)বলেন, রাস্তাটি কেটে ফেলায় তাঁরা বিপদে পড়ে গেছেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ১৯৮০-৮১ সাল থেকে এই রাস্তা করা হয় এই পথ দিয়ে লামা-আলীকদমের সেনাবাহিনী চলাচলপথ হিসাবে ব্যবহার করতো গত অর্থবছরে কর্মসূচি কাজ করা হয়,এর আগে ১৯৯০ সনের দিকে জনপ্রতিনিধি মন্নান মেম্বার উদ্বেগে আলীকদম উপজেলা রাস্তা সংস্কার করার জন্য বরাদ্দ দেয়,একটি কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করা হয়। সরকারি রাস্তা কেঠে পেলার অভিযোগ করার কারণে কয়েক দিন আগে বিবাদী নুরুল আবছারগং দা,কোদাল,নিয়ে মারধর করার জন্য এলাকাবাসীকে হুমকি দমকি দিচ্ছে। স্থানীয় লোকজন বাধা দিলেও রাস্তা কাটা বন্ধ না করে উল্টো এলাকাবাসীকে হুমকি দেন বিবাদী নুরুল আবছারগং এর লোকজন।
অভিযোগকারী আব্দু ছালাম(৬০) বলেন, এই সড়ক দিয়ে স্থানীয় পাঁচ শতাধিক বাসিন্দা হেঁটে চলা ছাড়াও -ট্রলি – ট্রাক্টর – ডাম্পার
দিয়ে প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহন করা হয় এই সড়ক দিয়ে। নুরুল আবছার (৩৫) ফসলি জমি বাড়াতে রাস্তা কেটে ফেলেন।এলাকাবাসীরা বাধা দেওয়া শর্তেও কাজ না হওয়ায় আমরা ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেছি।
এদিকে বিবাদীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে জানান, গ্রামীণ রাস্তা থেকে মাটি কেটে আপনার জমিতেই ফেলা হচ্ছে প্রশ্ন করার পর তিনি বলেন, কিছু মাটি কাটার পর এখন মাটি কাটা বন্ধ রয়েছে,তিনি আরো জানান এই রাস্তা আমার বাবা হাটার জন্য দিয়ে ছিল এখন মানুষ চলাচল করছে না তাই আমার বাবার জমি হিসাবে মাটি কাটছি।
চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা ছিল বিবাদীদের অনেক বার রাস্তা থেকে মাটি কেটে জমিতে না দিতে নিষেধ করেছি। এরপরও সে আমার কথা না শুনে গত রবিবার রাস্তা থেকে মাটি কাঠলে আমি চৌকিদার দিয়ে নিষেধ করি।
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়েদ ইকবাল বলেন- অভিযোগ পাওয়ার পর স্থানীয় ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
+ There are no comments
Add yours